টিকা নিলেও মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। ফাইল চিত্র।
শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে অতিমারি। আগামী ছ’মাসে ভারতে তা ‘এন্ডেমিক’ পরিণত হবে। তখন অতিমারি নিয়ন্ত্রণ করাও অনেক সহজ হয়ে উঠবে। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করেছেন ন্যাশন্যাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি)-এর অধিকর্তা সুজিত সিংহ। কেবলমাত্র নতুন একটি প্রজাতি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আনতে পারবে না বলেও মনে করেন তিনি।
কোভি়ড অতিমারি সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন অনুমান না মিললেও অতিমারির এন্ডেমিক পর্বে যাওয়ার ব্যাপারে বেশ প্রত্যয়ী দেখিয়েছে সুজিতকে। তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের অধিকাংশ অনুমান ব্যর্থ করেছে অতিমারি। কিন্তু আগামী ছ’মাসে আমরা এন্ডেমিক পর্যায়ে পৌঁছে যাব।’’ তবে এন্ডেমিক পর্যায়ে চলে যাওয়া মানেই যে করোনা সংক্রমণ থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া যাবে না, সে ব্যাপারেও সাবধান করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে সুজিত বলেছেন, ‘‘যদি সংক্রমণ সংখ্যা এবং মৃত্যু হার নিয়ন্ত্রণে থাকে, তা হলে এই রোগকে সামলে নেওয়া যাবে। ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর চাপও কমবে।’’ এ ব্যাপারে কেরলকে উদাহরণ করেছেন তিনি। কয়েক সপ্তাহ আগেও কেরলে পরিস্থিতি লাগামছাড়া ছিল। কিন্তু এখন সংক্রমণ কমায় বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে।
করোনাভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে টিকাকরণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে বলে মনে করেন সুজিত। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘‘এখনও অবদি ৭৫ কোটির বেশি লোক টিকা পেয়েছেন। টিকা যদি ৭০ শতাংশও কার্যকরী হয় তা হলে প্রায় ৫০ কোটি মানুষের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে। যে ৩০ কোটি মানুষ প্রথম টিকা পেয়েছেন তাঁদেরও প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে।’’ তবে টিকা নিলেও যে কোভিড বিধি মেনে চলতেই হবে সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন ওই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।
টিকা নিয়েও আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টিও উঠে এসেছে তাঁর কথায়। টিকাকরণের পরও আক্রান্ত হওয়া নিয়ে বলেছেন, ‘‘নয়া সংক্রমণ নতুন প্রজাতির জন্য হচ্ছে। কিন্তু পুরোপুরি টিকাকরণ হওয়া ব্যক্তির ক্ষেত্রে সেই সম্ভাবনা মাত্র ২০ থেকে ৩০ শতাংশ।’’ তবে আশার কথা শুনিয়েও উৎসবের মরসুমে মানুষকে সতর্ক থাকার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।