Jagdeep Dhankhar

ধনখড়ই সঙ্ঘকে নিশানা করেন, দাবি দিগ্বিজয়ের

উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় সে সময় কংগ্রেসে ছিলেন। ১৯৯৩ সালে রাজস্থানের ভোটে জিতে বিধায়ক হন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪ ০৮:১৮
Share:

জগদীপ ধনখড়। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে আরএসএসের সমালোচনা করায় চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় তাতে আপত্তি তুলে বলেছিলেন, আরএসএসের সদস্যরা তপস্বী, রাষ্ট্রভক্ত। তাঁদের মধ্যে উৎকৃষ্ট মানের সমর্পণের ভাবনা রয়েছে। তাই তিনি গত ২৫ বছর ধরে আরএসএসের সদস্য না হলেও ‘একলব্য’ হয়ে রয়েছেন।

Advertisement

এ বার কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যসভার সদস্য দিগ্বিজয় সিংহ রাজস্থানের বিধানসভার পুরনো নথি বের করে দেখালেন, জগদীপ ধনখড় রাজস্থানের বিধায়ক হিসেবে ১৯৯৪ সালে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, আরএসএস-এ কি সাংগঠনিক নির্বাচন হয়? যে সংস্থায় নির্বাচন হয় না, তাকে কি গণতান্ত্রিক বলা যেতে পারে? সংসদীয় গণতন্ত্রে কি এমন সংস্থার স্থান রয়েছে? সাধারণ মানুষ ভোটের মাধ্যমে আরএসএস-কে জবাব দিয়েছেন বলে ধনখড় তাঁদের অভিবাদনও জানিয়েছিলেন।

উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় সে সময় কংগ্রেসে ছিলেন। ১৯৯৩ সালে রাজস্থানের ভোটে জিতে বিধায়ক হন তিনি। দিগ্বিজয় সিংহের প্রশ্ন, আপনি কি এই মন্তব্যের পরে আরএসএসের ‘একলব্য’ হয়েছিলেন? কংগ্রেসের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক জয়রাম রমেশের কটাক্ষ, ‘‘জানে কাঁহা গয়ে ও দিন!’’ বিজেপি নেতাদের যুক্তি, রাজ্যসভায় ধনখড় নিজেই বলেছেন, তিনি ২৫ বছর আগে আরএসএসের ভক্ত হয়ে পড়েন। এই মন্তব্য তার আগের ঘটনা।

Advertisement

গত কাল উপরাষ্ট্রপতি এক অনুষ্ঠানে কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমকে নিশানা করেছিলেন। চিদম্বরমের অভিযোগ ছিল, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা-সহ তিনটি অপরাধ সংক্রান্ত আইন ‘পার্ট-টাইমার’ বা আংশিক সময়ের সদস্যদের তৈরি। ধনখড় অভিযোগ তুলেছেন, এতে সংসদের অপমান করা হয়েছে। সাংসদরা কি আংশিক সময়ের সদস্য? তাঁর মতে, পরিকল্পিত ভাবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে খাটো করতে এ সব বলা হচ্ছে। আজ চিদম্বরম জবাবে বলেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ২০২০ সালে অপরাধ সংক্রান্ত আইনের সংস্কার করতে একটি কমিটি তৈরি করেছিল। সেই কমিটিতে একজন বাদে বাকি সবাই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত অধ্যাপক ছিলেন। আংশিক সময়ের সদস্য হিসেবে কমিটিতে কাজ করেছিলেন। সেই কমিটিই নতুন তিন আইনের খসড়া তৈরি করেছিল। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে মনে করিয়েছেন, রাজ্যসভায় ৪৫ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করে তিন আইন পাশ হয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement