ছবি: সংগৃহীত।
বিপদে পড়লে ১১২ নম্বর ডায়াল করার জন্য বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। মঙ্গলবার লোকসভায় এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে জবাব চাইলে মন্ত্রী বলেন, মানুষের কাছে তাঁর অনুরোধ, সকলে যেন ১১২ ইমার্জেন্সি হেল্পলাইন অ্যাপটি ডাউনলোড করেন। দেশে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এটি কাজ করবে। রেড্ডি জানান, এই হেল্পলাইন বাস্তবায়িত করতে রাজ্যগুলিকে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। তাঁর ক্ষোভ, পশ্চিমবঙ্গেই শুধু এই পরিষেবা চালু হয়নি।
হেল্পলাইন নম্বর ১১২ কি কলকাতায় কাজ করে? মঙ্গলবার তা নিয়েই বিতর্ক চলে দিনভর। কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা সোমবার টুইটারে জানান, নিরাপত্তার সমস্যা হলে ১০০, ১০৯০, ১০৯১ বা ১১২ নম্বরে যে কোনও সময় ফোন করা যেতে পারে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রেড্ডি যদিও পশ্চিমবঙ্গে ১১২ নম্বরটির ব্যবহার নিয়ে অন্য সুরেই নিয়ে কথা বলেছেন।
কলকাতা থেকে আজ ১১২ নম্বরে বারবার ফোন করা হলেও ফোন যায়নি। প্রতিবারই যান্ত্রিক কণ্ঠস্বর বলেছে, ‘যে উপভোক্তাকে ডায়াল করেছেন, উনি কোনও কল ধরছেন না।’ কলকাতা পুলিশের কমিশনার অনুজ শর্মার পাশাপাশি যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) মুরলীধর শর্মাও বলেন, ‘‘১১২ নম্বরটি চালু রয়েছে। এ দিনই ওই নম্বরে ৭১টি ফোন এসেছে।’’ মুরলীধর নিজের ফোন থেকে ওই নম্বরে ফোন করেন। তাঁর ফোন থেকেও ১১২ নম্বরে ফোন লাগেনি। পরে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ফোনের সংযোগের সমস্যা হতে পারে।’’ কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (১) জাভেদ শামিম বলেন, ‘‘১১২ নম্বরে কল আসছে না, এমনটা নয়। কিছু ক্ষণ চেষ্টার পরে সংযোগ করা যাচ্ছে। এটা প্রযুক্তিগত সমস্যা।’’
আরও পড়ুন: তরুণীকে ধর্ষণের পর গুলি করে, পুড়িয়ে খুন! এক সপ্তাহের মধ্যেই তেলঙ্গানার ছায়া বক্সারে
পুলিশ সূত্রের খবর, ইমার্জেন্সি রেসপন্স সাপোর্ট সিস্টেমে (ইআরএসএস) দেশে ১১২ হেল্পলাইন নম্বর চালু করতে চেয়েছিল কেন্দ্র। বছরখানেক আগে রাজ্য সিদ্ধান্ত নেয়, নিজেদের হেল্পলাইন নম্বরই ব্যবহার করা হবে। কিন্তু নির্ভয়া তহবিলের আওতায় ইআরএসএস প্রকল্পে প্রায় ৮ কোটি টাকা কেন্দ্রের থেকে পেয়েছে রাজ্য। উপরন্তু কলকাতা পুলিশ কমিশনারের সোমবারের টুইট দেখে মনে করা হচ্ছে, প্রথমে রাজি না থাকলেও শেষ পর্যন্ত ১১২ হেল্পলাইন মেনে নিয়েছে রাজ্য।