—ফাইল চিত্র।
গাঁধী পরিবারের বিরুদ্ধে বিজেপি নতুন করে বফর্স কামান দাগলেও, বিরোধী জোটের প্রাচীরে তা চিড় ধরাতে পারল না। বরং একজোট বিরোধী সাংসদরা আজ সংসদের ভিতরে ও বাইরে সাসপেন্ড হওয়া কংগ্রেস সাংসদদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে সরব হলেন।
আজ সকালে সাংসদদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সামনেই অরুণ জেটলি বলেন, কংগ্রেস অধিবেশন চলতে দিচ্ছে না। বফর্সের অভিযোগ সামনে আসার পর তাই তারা ফের হাঙ্গামা শুরু করেছে। অনন্ত কুমার বলেন, কংগ্রেস সাংসদদের গত কালের আচরণ লজ্জাজনক। আজ অধিবেশন শুরুর আগে যখন বিজেপির বৈঠকে এই কথা চলছে, তখন সংসদের গাঁধীমূর্তির পাদদেশে রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের পাশে এসে দাঁড়াল তৃণমূল-সহ বাকি বিরোধীরা। সংসদের ভিতরেও তৃণমূলের সৌগত রায় থেকে সিপিএমের মহম্মদ সেলিমরা সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের ফিরিয়ে নিতে স্পিকারের কাছে আবেদন জানালেন। কিন্তু স্পিকার তাতে কর্ণপাত না-করায় সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস আজ ফের হাঙ্গামা করে লোকসভা অচল করে দেয়।
কংগ্রেস শিবিরের অভিযোগ, স্পিকার সাসপেনশন তুলে নেওয়ার পক্ষে ছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কাছে থেকে বার্তা আসে, কংগ্রেসকে আরও বিপাকে ফেলতে হবে। তা না-হলে গত কালই বিরোধীরা স্পিকারের কাছে গিয়ে শাস্তি প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন।
সরকারের এক মন্ত্রী বলেন, ‘‘যত ক্ষণ না কংগ্রেসের সাংসদরা এসে ক্ষমা না চাইছেন, শাস্তি তুলে নেওয়ার প্রশ্নই নেই।’’ এরই মধ্যে এক বিজেপি সাংসদ কংগ্রেসের জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে ‘দলিত-বিরোধী’ বলায় আজ ফের হাঙ্গামা হয়। জ্যোতিরাদিত্য বলেন, তাঁকে দলিত-বিরোধী প্রমাণ করতে পারলে ইস্তফা দেবেন তিনি। এই নিয়ে ফের বাগবিতণ্ডা বাধে। গত কাল হট্টগোলের সময় অনুরাগ লোকসভায় মোবাইলে ভিডিও তুলছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আপ সাংসদ ভগবন্ত মানকে সনিয়া বলেন, অনুরাগ ঠাকুরের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি তুলতে। হট্টগোলের জেরে আজ ফের মুলতুবি হয় লোকসভা।