ডেরেক ও ব্রায়েন। ফাইল চিত্র
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বঞ্চনার অভিযোগ উড়িয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ সিংহ ঠাকুর দাবি করেছিলেন, দিল্লির পরামর্শ মেনে চললে আখেরে লাভবান হবে রাজ্য। আজ তৃণমূল নেতৃত্বের পাল্টা বক্তব্য, পরামর্শ নয়, প্রয়োজন বকেয়া অর্থের। তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েন আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে কোন খাতে কত টাকা বাকি রয়েছে, তার বিশদ জানান। তিনি বলেন, ‘‘আমরা কেন্দ্রের সঙ্গে সহযোগিতা করেই কাজ করতে চাই। কিন্তু বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বরাদ্দের টাকা থেকে শুরু করে খাদ্য ভর্তুকি, জিএসটি-র টাকা কেন্দ্রের ঘরে পড়ে রয়েছে।’’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানান, কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের ৫৩ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। সে কথা জানিয়ে ডেরেক বলেন, ‘‘গত এক বছরে কেন্দ্রের সাহায্যে চলা প্রকল্পগুলিতে ৩৬ হাজার কোটি টাকা বকেয়া। রাজ্যে থেকে যে রাজস্ব আদায় হয়েছে, তার থেকে ১১ হাজার কোটি টাকা প্রাপ্য আমাদের। কিন্তু তা এখনও আসেনি। এ ছাড়া খাদ্য ভর্তুকি এবং জিএসটি বাবদ ৬ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র এখনও দেয়নি।’’
ডেরেকের মতে, কোভিড মোকাবিলায় এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার খরচ করেছে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা। কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মাধ্যমে ১৪৪ কোটি এবং স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফান্ড (এসডিআরএফ)-এর মাধ্যমে ২৫০ কোটি টাকা দিয়েছে। ফলে কোভিড খাতে এখনও ৮০৬ কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে বকেয়া আছে। আমপানে ক্ষতি ১ লাখ ২ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা। ডেরেক জানান, এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের কাছ থেকে মিলেছে ১ হাজার কোটি টাকা। ফলে ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা সামলাতে রাজ্যের প্রয়োজন এখনও ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা। পরিযায়ী এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য কেন্দ্রের কাছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবেদন, অবিলম্বে গত দু’বছর ধরে আটকে রাখা এমপি ল্যাড-এর টাকাকে কাজে লাগানো হোক।