গাঁধী মূর্তির সামনে ধর্নায় বিরোধীরা। নিজস্ব চিত্র।
নোট বাতিল ইস্যুতে সংসদের ভিতরে-বাইরে সরব বিরোধীরা। বুধবার সকাল থেকেই উত্তাল সংসদের উভয় কক্ষ। মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এ দিন সকাল থেকেই সংসদ ভবন চত্বরে ধর্নায় বসেন বিরোধী দলের প্রায় শ’দুয়েক সাংসদ। নোটকাণ্ডকে কেন্দ্র করে নিজেদের শক্তি জাহির করা শুরু করে দিয়েছে বিরোধী দলগুলি। এই ইস্যুর প্রতিবাদে দুপুরে যন্তর মন্তরে জনসভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত কয়েক দিনের মতো আজও সকাল থেকেই নোটকাণ্ডের জেরে অচল সংসদের উভয় কক্ষ। মোদী সরকারের নোট বাতিলের সি্দ্ধান্তের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার চায় তৃণমূল এবং আম আদমি পার্টি-সহ বিরোধী দলগুলি। এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরবিন্দ কেজরীবাল মোদী সরকারের বিরোধিতা করে পথে নেমেছিলেন। তবে এ বারের আন্দোলন আরও জোরালো হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। নয়াদিল্লিতে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছেন রাহুল গাঁধী, শরদ যাদবের মতো হেভিওয়েট নেতারা। রয়েছেন কংগ্রেস, তৃণমূল, আম আদমি পার্টি-সহ আরও কয়েকটি দলের সাংসদরা। সকালেই ধর্নায় যোগ দেন তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। মোট ১৫টি রাজনৈতিক দল গাঁধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় যোগ দিয়েছে। একমঞ্চে প্রায় সব দলগুলির একযোগে ধর্না যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ। নোটকাণ্ডে মোদী সরকারকে কোণঠাসা করতেই এই প্রতিবাদ। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় বিরোধীদের দফায় দফায় হই-হট্টগোলে ব্যাহত সংসদের কাজ।
এই ইস্যুতে এ দিন মমতা ফের রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবেন। শেষ মুহূর্তে ধর্নায় যোগ দিয়েছে এআইডিএমকে।লাগাতার আন্দোলন জারি রাখতে আগামিকাল বিকেলে বিরোধী নেতারা আলোচনায় বসবেন। বৃহস্পতিবারও ফের বৈঠক করে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করার দিনক্ষণ স্থির করা হবে। সকালের ধর্নায় অন্য দলগুলির পাশাপাশি বাম নেতারাও হাজির রয়েছেন।
আরও পড়ুন: আজ দিল্লিতে ধর্না, মমতা-রাহুল কাছাকাছি