কুয়াশামগ্ন রাজধানী। ছবি: পিটিআই।
হাড়কাঁপানো ঠান্ডার মধ্যে ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়া রয়েছে রাজধানী দিল্লি। গত দু’দিন ধরে কুয়াশার পরিমাণ এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে বিমান এবং রেল চলাচল ব্যহত হচ্ছে। এর ফলে বিপদে পড়ছেন যাত্রীরা। সোমবার দিল্লি থেকে গোয়াগামী ইন্ডিগো সংস্থার একটি বিমান ১৩ ঘণ্টা দেরি করে ছাড়ায় বিমানচালকের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে চড়াও হয়েছিলেন এক যাত্রী। এই ঘটনার পর কুয়াশার কারণে আরও একাধিক বিমান দেরিতে ছেড়েছে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দর থেকে। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, ১০০টিরও বেশি বিমান ঘন কুয়াশার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে রওনা হতে পারেনি। কুয়াশা সামান্য কমলে পরিস্থিতি অনুকূল হলে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে অনেকটাই দেরি করে বিমান ছেড়েছে। সোমবার মোট ৭৯টি বিমান বাতিল হয়েছে এবং ১১০টি বিমান দেরিতে উড়েছে বলে ফ্লাইটরাডার২৪ ওয়েবসাইট সূত্রে খবর।
তবে কম দৃশ্যমানতায় যাতে বিমান চলাচলে অসুবিধা না হয়, সে কারণে ‘লো ভিসিবিলিটি’ নামে এক বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে বিমান ওড়ানো হবে বলে বিমানবন্দর সূত্রে খবর। মঙ্গলবার দিল্লি বিমানবন্দর সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে। তাদের মন্তব্য, ‘‘বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। যে সকল যাত্রী বিমানের টিকিট কেটেছেন, তাঁরা দয়া করে নির্দিষ্ট বিমান সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’’
শুধুমাত্র বিমানের ক্ষেত্রেই নয়, ব্যহত হয়েছে রেল চলাচলও। গত দু’দিন ধরে কুয়াশার পরিমাণ বাড়তে থাকায় দেরি করে ছাড়ছে বহু ট্রেন। রেল সূত্রে খবর, শৈত্যপ্রবাহ এবং কুয়াশার কারণে মোট ৩০টি ট্রেন দিল্লি স্টেশন থেকে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে দেরি করে ছেড়েছে। শুক্রবারই চার ডিগ্রির নীচে নেমে গিয়েছিল দিল্লির তাপমাত্রা। শনিবার আরও পতন হয়েছিল তাপমাত্রায়। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, শনিবার সকালে রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মরসুমের শীতলতম। শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা হু হু করে নামতে থাকায় শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে রাজধানী জুড়ে। তার সঙ্গে ঘন কুয়াশাও দিল্লির স্বাভাবিক জীবনে প্রভাব ফেলেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর তাপমাত্রা আবার চার ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার দিল্লির তাপমাত্রা ৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশার কারণে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে দিল্লি, পঞ্জাব এবং হরিয়ানায়। চণ্ডীগড় এবং রাজস্থানেও সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন।