গত ফেব্রুয়ারিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লির একাংশ। —ফাইল চিত্র
দিল্লি হিংসার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে বুধবার চার্জশিট পেশ করল পুলিশ। তাতে সাসপেন্ড হওয়া আপ কাউন্সিলর তাহির হুসেনের নাম রয়েছে। তবে কয়েক দিন আগে গ্রেফতার হওয়া উমর খালিদ এবং শরজিল ইমামের নাম মূল চার্জশিটে নেই। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত চার্জশিটে তাঁদের নাম থাকবে। তবে যে ১৫ জনের নাম চার্জশিটে উঠে এসেছে, তাঁরা সকলেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনে শামিল ছিলেন। অভিযুক্তদদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ) এবং অস্ত্র আইনের একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ এ-ও দাবি করেছে, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে ওই হিংসায় ইন্ধন জোগানো হয়েছিল।
এ দিন দিল্লির করকরডুমা আদালতে সাড়ে ১৭ হাজার পাতার বিশালাকার চার্জশিট পেশ করে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল। দু’টি ট্রাঙ্কে বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হয় ওই নথি। দিল্লি পুলিশের দাবি, হিংসার ঘটনা এবং তার পিছনে কী কী কারণ তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ রয়েছে ওই চার্জশিটে। তবে ওই চার্জশিটে যাঁদের নাম উল্লেখ রয়েছে, তাঁদে
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হিংসার সময় বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপকে কাজে লাগানো হয়েছিল বলেও আদালতে দাবি করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, হিংসার ঘটনায় প্রত্যক্ষ ভাবে যারা জড়িত তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রেখেছিল ষড়যন্ত্রকারীরা। দু’টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সাহায্যে সিলমপুর এবং জাফরাবাদে হিংসা ছড়ানো হয়েছিল। তদন্তকারীরা এ-ও দাবি করেছেন, প্রতিটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপকেই চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাদের ভূমিকাও ধরা গিয়েছে বলে দিল্লি পুলিশের দাবি।
আরও পড়ুন: ৮৬১.৯০ কোটিতে নয়া সংসদ ভবন তৈরির বরাত পেল টাটা গোষ্ঠী
গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের সময় হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লি। হানাহানিতে মৃত্যু হয় ৫০ জনের বেশি মানুষের। আহত হন অনেকে। ওই হিংসার ঘটনাকে ঘিরে মোট ৭৫১টি মামলা দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে ৫৯টির তদন্ত করছে ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের বিশেষ দল। ৬৯১টি তদন্তের দায়িত্বে জেলা পুলিশ এবং একটি মামলা দেখভাল করছে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল।