Delhi Violence

দিল্লি পুলিশের প্রশংসা অমিতের, কক্ষত্যাগ কংগ্রেসের

পুলিশের মনোবল বাড়াতেই ডোভালকে হিংসা কবলিত এলাকায় পাঠানো হয়েছিল বলে জানালেন অমিত শাহ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২০ ১৯:০১
Share:

লোকসভায় অমিত শাহ।

রাজধানীর রাস্তায় হিংসা রুখতে সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়েছে দিল্লি পুলিশ। তাঁদের চেষ্টাতেই উত্তর-পূর্ব ছাড়িয়ে অন্যত্র হিংসা ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে তেতে উঠেছিল রাজধানীর পরিস্থিতি। বিরোধীদের চাপে বুধবার লোকসভায় এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় সরকারকে। সেখানেই দিল্লি পুলিশকে দরাজ সার্টিফিকেট দেন অমিত শাহ। প্রতিবাদে কক্ষ ত্যাগ করেন কংগ্রেস সাংসদরা।

Advertisement

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তেত ওঠে রাজধানীর উত্তর-পূর্ব অংশ। ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তার আঁচ ছিল রাজধানীর সর্বত্র। তাতে সব মিলিয়ে ৫৩ জন প্রাণ হারান। আহত হন ২০০-র বেশি মানুষ। গোটা ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করলেও, পুলিশের তরফে কোনও গাফিলতি ছিল না বলে সাফ জানিয়ে দেন শাহ। তিনি বলেন, ‘‘হিংসার ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের শ্রদ্ধা জানাই। সমবেদনা জানাই ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার-পরিজনকে। কিন্তু ২৫ ফেব্রুয়ারির পর কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টিকে নিয়ে খামোকা রাজনীতি করা হচ্ছে।’’

দিল্লি পুলিশের প্রশংসা করে শাহ বলেন, ‘‘প্রশ্ন উঠছে ঘটনার সময় দিল্লি পুলিশ কী করছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলেই ছিল। ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে তারাই। আমি নিরন্তর ঘটনার পর্য়ালোচনা করে গিয়েছি। আমার পরামর্শেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন।পুলিশের তৎপরতার জন্যই হিংসা অন্যত্র ছড়িয়ে পড়েনি।’’

Advertisement

হিংসা চলাকালীন মৌজপুর, ভজনপুরা, চাঁদ বাগ, কর্দমপুরী-সহ একাধিক জায়গা থেকে বার বার যোগায়োগের চেষ্টা করা হলেও, পুলিশের তরফে কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি বলে ক্ষতিগ্রস্তদের তরফে বার বার অভিযোগ করা হয়েছে। তা নিয়ে আদালতেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে দিল্লি পুলিশকে। উস্কানিমূলক মন্তব্য করে যে বা যাঁরা হিংসায় মদত দিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হল না কেন, সেই নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাদের। কিন্তু এ দিন অমিত শাহ জানান, ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ৭০০ এফআইআর দায়ের হয়েছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে কাউকে রেয়াত করা হবে না বলেও জানান তিনি।

হিংসা চলাকালীন মৌজপুর, ভজনপুরা, চাঁদ বাগ, কর্দমপুরী-সহ একাধিক জায়গা থেকে বার বার যোগায়োগের চেষ্টা করা হলেও, পুলিশের তরফে কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি বলে ক্ষতিগ্রস্তদের তরফে বার বার অভিযোগ করা হয়েছে। তা নিয়ে আদালতেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে দিল্লি পুলিশকে। উস্কানিমূলক মন্তব্য করে যে বা যাঁরা হিংসায় মদত দিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হল না কেন, সেই নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাদের।

কিন্তু এ দিন অমিত শাহ জানান, ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ৭০০ এফআইআর দায়ের হয়েছে, যার মধ্যে বেআইনি অস্ত্র আইনে ৪৯টি মামলা দায়ের হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ১৫৩টি অস্ত্রশস্ত্র। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে দফায় দফায় ৬৫০টি বৈঠক হযেছে।

এত অল্প সময়ের মধ্যে দিল্লির হিংসা যে আকার ধারণ করেছে, কোনও ষড়যন্ত্র ছাড়া তা সম্ভব নয় বলেও এ দিন মন্তব্য করেন শাহ। তিনি বলেন, ‘‘ষড়যন্ত্র না থাকলে এত অল্প সময়ের মধ্যে হিংসা এত বড় আকার ধারণ করতে পারত না। ষড়যন্ত্রের মামলাও দায়ের করেছি আমরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হিংসায় আর্থিক মদত জোগানোয় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement