ছবি: পিটিআই।
গন্ডগোল শুরু হয়েছিল রবিবার সন্ধ্যায়। প্রায় ৭২ ঘণ্টা পরে উত্তর-পূর্ব দিল্লির উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। কেজরীবালের দাবি, ‘‘গোটা ঘটনার জন্য দায়ী সংলগ্ন রাজ্য থেকে আসা বহিরাগতরা। দিল্লির হিন্দু-মুসলমানেরা ঝামেলায় জড়ান না।’’
রবিবার ঝামেলার পর থেকেই মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন কেজরীবাল। মুখ খোলেননি অন্য আপ-নেতারাও। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। কেজরীবাল যাতে উপদ্রুত এলাকায় যান, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন— সেই দাবি তুলে গত কাল গভীর রাতে তাঁর বাসভবনের সামনে ধর্নায় বসেন জেএনইউয়ের পড়ুয়া, জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা। গভীর রাতেই কেজরীবালের সঙ্গে দেখা করার দাবি তোলেন আন্দোলনকারীরা। ভোর রাতে জলকামান ব্যবহার করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।
প্রশ্ন ওঠে, ক্যাডার-নির্ভর পার্টি হওয়া সত্ত্বেও সংঘর্ষ থামাতে কেন সক্রিয় ভূমিকা নিল না আপ? উপদ্রুত এলাকাগুলি থেকে একাধিক আপ বিধায়কের কাছে ফোন যাওয়া সত্ত্বেও তাঁরা কোনও জবাব দেননি। ওই এলাকা তাঁদের বিধানসভা এলাকার নয় বলে এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগও ওঠে। কেজরীবালের আপাত নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কংগ্রেসও। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘দিল্লি জ্বলছে। অথচ মুখ্যমন্ত্রীকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না।’’ জনমানসে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বুঝতে পেরে আজ সকালে কেন্দ্রের কাছে সেনা নামানোর দাবি জানান কেজরীবাল।
আরও পড়ুন: রাস্তা অন্ধকার, ফের স্লোগান ‘গোলি মারো’
দিল্লির সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনা করতে আজ বিধানসভা অধিবেশনও ডাকেন কেজরীবাল। সেখানে বলেন, ‘‘ঝামেলার পিছনে ‘আম আদমি’-র হাত ছিল না। কিছু অপরাধী, বহিরাগত লোক ও রাজনীতিকরা চক্রান্ত করে ওই ঝামেলা পাকিয়েছে।’’