অভিযুক্ত ছাত্রের অ্যাকাউন্ট থেকে দু’দিনে ৬২ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
৩০ হাজার টাকায় নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট প্রতারকদের কাছে বিক্রি করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যলয়ের এক ছাত্র। অভিযুক্তের নাম আদিল কে কে। তিনি কেরলের জাংপুরার বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে খবর, আদিলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে প্রতারকরা লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিত। টাকা দ্বিগুণ করার ফাঁদে ফেলত প্রতারকরা। তার পর গ্রাহকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিত। সেই টাকা অল্প সময়ে দ্বিগুণ করে ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিত।
গোটা চক্র চালানো হত অনলাইনে। এক মহিলার অভিযোগ, তিনি একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সাড়ে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু কিছু দিন পরেই ওই টাকা তুলতে গিয়ে তিনি বুঝতে পারেন, প্রতারকদের পাল্লায় পড়েছেন। এর পরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মহিলার দেওয়া সাড়ে ১০ লক্ষ টাকার মধ্যে ৭ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা আদিল নামে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার পরই পুলিশ আদিলের খোঁজ শুরু করে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, আদিল আর কেউ নন, দিল্লি বিশ্বিদ্যালয়ের এক ছাত্র। তিনি নিজের অ্যাকাউন্ট টাকার বিনিময়ে প্রতারকদের কাছে বিক্রি করেছিলেন। আদিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, দু’দিনে আদিলের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ৬২ লক্ষ টাকা। পুলিশের কাছে আদিল দাবি করেছেন, তাঁর রুম পার্টনারের কাছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিলেন। কী ভাবে ফাঁদে ফেলা হত তা-ও জানিয়েছেন আদিল। একটি ভুয়ো ওয়েবসাইটে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট বানাতে বলা হত। সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই লেনদেন চলত। গ্রাহকদের ভরসা আদায় করতে অল্প টাকায় দ্বিগুণ ফেরত দেওয়া হত। যদি কেউ ১০০ টাকা দিতেন, তাঁকে ১০০০ টাকা দেওয়া হত। আর সেই ফাঁদে পড়েই গ্রাহকরা মোটা অঙ্কের টাকা জমা করতেন। সেই টাকা জমা পড়তেই গা ঢাকা দিতেন প্রতারকরা।