বাঙালি ২৫ লাখ, বাংলা বইয়ের দোকান মাত্র দুই

দিল্লিতে ২৫ লাখ বাঙালি! দিল্লিতে দুর্গা পুজো হয় প্রায় হাজারের কাছাকাছি। কিন্তু বাংলা বইয়ের দোকান মাত্র দুটি। রাজধানীর দীর্ঘদিনের বাসিন্দা প্রয়াত সাহিত্যিক প্রমথনাথ বিশীর কন্যা চিরশ্রী বিশী চক্রবর্তী। লেডি শ্রীরাম কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপিকা ছিলেন। তাঁর কথায়, বাংলা বই দিল্লিতে দুষ্প্রাপ্য। বাঙালির সংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু নানা ধরনের বাংলা বইয়ের দোকান বাড়ছে না।

Advertisement

সুমনা কাঞ্জিলাল

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৩:১০
Share:

দিল্লিতে ২৫ লাখ বাঙালি! দিল্লিতে দুর্গা পুজো হয় প্রায় হাজারের কাছাকাছি। কিন্তু বাংলা বইয়ের দোকান মাত্র দুটি।

Advertisement

রাজধানীর দীর্ঘদিনের বাসিন্দা প্রয়াত সাহিত্যিক প্রমথনাথ বিশীর কন্যা চিরশ্রী বিশী চক্রবর্তী। লেডি শ্রীরাম কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপিকা ছিলেন। তাঁর কথায়, বাংলা বই দিল্লিতে দুষ্প্রাপ্য। বাঙালির সংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু নানা ধরনের বাংলা বইয়ের দোকান বাড়ছে না।

অবাক লাগলেও এটাই সত্যি যে চিত্তরঞ্জন পার্কে আনন্দ পাবলিশার্স ও গোল মার্কেটে মুক্তধারা বুক শপ ছাড়া এই বিরাট এলাকায় খাঁটি বাংলা বইয়ের দোকান আর নেই। তাই আজও প্রয়োজন মতো বাংলা বই সংগ্রহের জন্য এখানকার বাঙালিদের কলকাতা থেকে বই আনানো ছাড়া উপায় নেই।

Advertisement

২০১২-র ২ অক্টোবর উদ্বোধন হয়েছিল আনন্দ পাবলিশার্সের চিত্তরঞ্জন পার্কের বিক্রয় কেন্দ্রটির। এখানে বাংলা সাহিত্যের অগ্রণী এই প্রকাশনা সংস্থার প্রকাশিত সমস্ত বই পাওয়া যায়। দোকানের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল জানালেন, মঙ্গলবার বাদে সপ্তাহের যে-কোনো দিন সকাল সাড়ে দশটা থেকে সন্ধে সাড়ে আটটা পর্যন্ত আনন্দ খোলা থাকে। ২০০ টাকার উপর বই কিনলে ৫০ টাকার বই বিনামূল্যে পাওয়া যায়। এইভাবে যত বেশি টাকার বই কিনবেন, ক্রেতাদের সমানুপাতিক হারে তত বেশি টাকার বই বিনামূল্যে পাওয়ার সুযোগ আছে। অর্থাৎ কলকাতার মূল বিক্রয়কেন্দ্রের মতো বা আনন্দ পাবলিশার্সের অন্য দোকানের মতো সুবিধা এখানেও পাওয়া যায়। কিন্তু ক্রেতারা কতটা আগ্রহী এই বিক্রয়কেন্দ্রে বই কিনতে? কৃষ্ণেন্দুবাবু জানালেন, সপ্তাহের অন্যান্য দিন মাঝারি সংখ্যায় ক্রেতা পাওয়া গেলেও ছুটির দিন ভিড় হয় ভালোই। অর্থাৎ দিল্লিতে বাংলা বইয়ের চাহিদা যথেষ্টই আছে।

প্রায় একই চিত্র পাওয়া গেল বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালিত মুক্তধারা বুক শপে গিয়ে। ২০০৭ সাল থেকে এই দোকানটিতে প্রায় সব প্রকাশনার বাংলা বই বিক্রি হয়ে আসছে। এখানে ক্রেতারা ১০% ছাড়ে বই কিনতে পারেন। এছাড়া বেশ কিছু পুরোনো বইয়ের সংগ্রহ আছে এই দোকানে, যেগুলির বিক্রির উপর ৫০% ছাড় দেওয়া হয়। রবিবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি দিনগুলিতে সকাল এগারোটা থেকে সন্ধে সাড়ে ছটা পর্যন্ত খোলা থাকে। এখানেও বইক্রেতাদের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো।

সাহিত্য অকাডেমির গ্রন্থাগারিক বিশ্বজিৎ সিংহের মতে, নয়ের দশকের পর থেকে পাঠকের রূপ পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু পাঠকের বাংলা পড়ার খিদে এখনও আছে। তাই বাংলা বইয়ের চাহিদা মেটাতে আরও বেশি সংখ্যায় বাংলা বইয়ের দোকান প্রয়োজন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement