দিল্লিতে কোভিড রোগীদের সৎকার। ছবি—রয়টার্স।
লেহতে কর্মরত এক লেফটেন্যান্ট কর্নেলের থেকে সম্প্রতি ফোন এসেছিল দিল্লি পুলিশের কাছে। সেনাবাহিনীর ওই অফিসার দিল্লি পুলিশের কাছে আর্জি জানান, দ্বারকার বাসিন্দা তাঁর শ্বশুর কোভিডে আক্রান্ত হয়ে শনিবার মারা গিয়েছেন। কিন্তু এত কম সময়ে তিনি দিল্লি আসতে পারছেন না। তাই পুলিশ যদি সৎকারের ব্যবস্থা করে। এই অনুরোধ পাওয়ার পর পিপিই কিট পরে পুলিশকর্মীরা দেহ নিয়ে আসেন। হিন্দু রীতি মেনে সৎকার করা হয় সেনা অফিসারের শ্বশুরের দেহ।
গত কয়েক দিনে সৎকার করার জন্য এ রকম বেশ কয়েকটি অনুরোধ এসেছে দিল্লি পুলিশের কাছে। যাঁরা একা থাকেন বা যাঁদের পরিবারের লোক অনেক দূরে থাকেন তাঁদের থেকেই মূলত এসেছে এই অনুরোধ। আবার করোনাভাইরাসের কারণে যে সব পরিবার তাঁদের স্বজনদের জন্য সৎকারের ব্যবস্থা করতে পারেননি তাঁরাও একই রকম অনুরোধ নিয়ে দ্বারস্থ হচ্ছেন দিল্লি পুলিশের।
শনিবারই দ্বারকা এবং করোলবাগ এলাকা থেকে এ রকম দু’টি অনুরোধ এসেছে বলে জানিয়ে পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দ্বারকা) সন্তোষকুমার মীনা বলেছেন, ‘‘সৌমেন মণ্ডল নামের এক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফোন করে অনুরোধ করেন তাঁর শ্বশুর বিশ্বনাথ প্রামাণিকের সৎকারের ব্যবস্থা করতে। সৌমেন জানিয়েছিলেন এত কম সময়ের মধ্যে ছুটি নিয়ে আসা তাঁর পক্ষে অসম্ভব। দ্বারকা পুলিশের একটি দল সৎকারের ব্যবস্থা করেছে।’’
পুলিশের এই মানবিক মুখ প্রশংসা পাচ্ছে সব মহল থেকেই।