ফাইল চিত্র।
অডিয়ো ক্লিপে শোনা গিয়েছিল, তবলিগি জামাতের সদস্যদের লকডাউন ও পারস্পরিক দূরত্ববিধি ভেঙে নিজ়ামুদ্দিন মরকজ়ে আসতে বলেছিলেন ‘তিনি’। যে ধর্মীয় জমায়েতের জেরে দিল্লি তথা দেশে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে বলে অভিযোগ। কিন্তু মরকজ় প্রধান মৌলানা সাদ কন্ধালভির কণ্ঠস্বরের সেই অডিয়ো ক্লিপটিতেই কারিকুরি করা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত পেয়েছে দিল্লি পুলিশের অপরাধদমন শাখা।
প্রশাসনের হুঁশিয়ারি উড়িয়ে তবলিগি জামাত আয়োজনের অভিযোগে কন্ধালভি ও আরও ৬ জনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা হয়েছে। কন্ধালভির অডিয়ো ক্লিপের উল্লেখ রয়েছে দিল্লি পুলিশের এফআইআরে। কিন্তু সূত্রের দাবি, অন্য অনেকগুলি অডিয়ো ফাইল জুড়ে ওই অডিয়ো ক্লিপটি তৈরি করা হয়ে থাকতে পারে, এমন একটা আঁচ পাওয়া যাচ্ছে প্রাথমিক তদন্তে। সংশ্লিষ্ট অডিয়ো ক্লিপ এবং জামাতের অন্যান্য অডিয়ো ক্লিপ একটি ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
হজরত নিজ়ামুদ্দিনের এসএইচও মুকেশ ওয়ালিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতেই সংশ্লিষ্ট এফআইআরটি দায়ের হয়। ওয়ালিয়া বলেছিলেন, ‘‘গত ২১ মার্চ হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরতে থাকা একটি অডিয়ো রেকর্ডিং পাওয়া যায়, যার কণ্ঠস্বরটি মৌলানা সাদের বলে মনে করা হচ্ছিল। বক্তা সেটিতে সবাইকে লকডাউন ও দূরত্ববিধি ভেঙে মরকজ়ে যোগ দিতে বলছিলেন।’’
কন্ধালভি এখনও আড়ালে রয়েছেন। সূত্রের দাবি, মরকজ়ের যে সদস্যের উপরে অডিয়ো ক্লিপগুলি সম্প্রচারের ভার, সম্প্রতি তাঁর ল্যাপটপটি উদ্ধার করে পুলিশ। সাড়ে তিনশোরও বেশি অডিয়ো ক্লিপ ছিল তাতে। কিছু সরাসরি মরকজ়ের, কিছু পাঠানো হয়েছে সদস্যদের কাছে, আর কিছু ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছে। সব ক’টিই শুনেছেন তদন্তকারীরা। সম্ভবত তার পরেই মূল ক্লিপটিতে কাটাছেঁড়া হয়েছিল বলে সন্দেহ হয় তাঁদের।