শ্রদ্ধা ওয়ালকর খুনে অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বক্তব্য় খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। —ফাইল চিত্র।
শ্রদ্ধা ওয়ালকর খুনে অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লির জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে দু’টি দেহাংশ উদ্ধার করল দিল্লি পুলিশ। ওই দেহাংশগুলি শ্রদ্ধারই কি না, তা জানতে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেবেন তদন্তকারীরা।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, শুক্রবার দক্ষিণ দিল্লির মেহরৌলীর জঙ্গলের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি অভিযান চালান তদন্তকারীরা। এই জঙ্গল থেকে ইতিমধ্যেই ১৩টি হা়ড়গোড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেগুলি শ্রদ্ধার কি না, তা খতিয়ে দেখতে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। অন্য দিকে, শুক্রবারই দিল্লি পুলিশের একটি তদন্তকারী দল গিয়ে পৌঁছেছে মুম্বই। মহারাষ্ট্র পুলিশ জানিয়েছে, বসইয়ের মানিকপুর থানায় শ্রদ্ধার বন্ধু লক্ষ্মণ নাদারকে তলব করে তাঁর বয়ান রেকর্ড করেছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, মাস দুয়েক ধরে শ্রদ্ধার মোবাইল ফোন সুইচ্ড অফ রয়েছে বলে সেপ্টেম্বরে দাবি করেছিলেন লক্ষ্মণ। এ কথা তিনিই প্রথম শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন ওয়ালকরকে জানিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতেই মানিকপুর থানায় মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করেছিলেন বিকাশ। এর পর অক্টোবরে জিজ্ঞাসাবাদের পর শ্রদ্ধার প্রেমিক তথা লিভ-ই সঙ্গী আফতাবকে ১২ নভেম্বর গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।
ছবি: সংগৃহীত।
তদন্তকারীদের অভিযোগ, ১৮ মে শ্রদ্ধার শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুনে করেন আফতাব। এর পরের দু’দিনের বেশি সময় ধরে শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করেন তিনি। সেগুলিতে পচন রুখতে রাসায়নিক দিয়ে ধুয়েমুছে মাস তিনেক ধরে ফ্রিজ়ে ভরে রেখেছিলেন আফতাব। এর পরের ১৮ রাত ধরে মেহরৌলীর ছতরপুর পাহাড়ি এলাকার জঙ্গলে গিয়ে দেহের টুকরোগুলি বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দিতেন তিনি। পুলিশের দাবি, এ সবই স্বীকার করেছেন আফতাব। তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে প্রমাণ খুঁজতে আফতাবকে সঙ্গে নিয়ে ওই জঙ্গলে তল্লাশি চালাল পুলিশ।