ধৃত মনোজ চৌবে। ছবি: সংগৃহীত।
দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার এক চোর। আর সেই চোরের বিশাল সম্পত্তি ভাবাতে শুরু করেছে পুলিশকে। গত মাসে দিল্লির মডেল টাউন থানার পুলিশ ‘কোটিপতি’ এই চোরকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম মনোজ চৌবে। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক তিনি। নেপালেও তাঁর নামে চুরির অভিযোগ রয়েছে। শুধু দিল্লিতেই নাকি তিনি ২০০টির বেশি চুরি করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। মনোজের বিরুদ্ধে নিজের বাড়িতেও চুরির অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও চুরির অভিযোগে মনোজকে ন’বার গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু প্রতি বারেই গ্রেফতারির পর তিনি পুলিশকে ভুয়ো পরিচয় দিতেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ জানিয়েছে, মনোজ চুরির টাকায় উত্তরপ্রদেশে স্ত্রীর নামে গেস্ট হাউস এবং নেপালে নিজের নামে হোটেলের কারবার খুলে বসেছিলেন। লখনউ এবং দিল্লিতে বিলাসবহুল বাড়িও তৈরি করিয়েছিলেন। ২০০১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তাঁর নামে ১৫টিরও বেশি ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত রয়েছে। তিনি বিগত ২৫ বছর ধরে পরিবারের থেকে লুকিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছিলেন বলেও দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশের জানিয়েছে, ৪৮ বছর বয়সি মনোজের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগরে। ১৯৯৭ সালে তিনি দিল্লি চলে আসেন। কীর্তি নগর থানা এলাকায় একটি ক্যান্টিনে কাজ পান। পরে সেই ক্যান্টিনেই চুরির অভিযোগে তাঁকে জেলে পাঠানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই দিল্লির তালাবন্ধ বিলাসবহুল বাড়িগুলিতে চুরি করা শুরু করেন মনোজ। তবে মনোজ কী করেন, তা জানতেন না তাঁর পরিবার। বাড়িতে বলেছিলেন, দিল্লিতে গাড়ি পার্কিংয়ে কাজ করেন। পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশে সেচ বিভাগে কর্মরত এক সরকারি আধিকারিককে বিয়েও করেছিলেন। কিন্তু তাঁর স্ত্রীও ঘুণাক্ষরে টের পাননি যে স্বামী আসলে কী করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, হোটেল এবং গেস্ট হাউস থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতেন মনোজ। তবুও সুযোগ পেলেই তিনি চুরি করতে দিল্লি চলে আসতেন। সম্প্রতি একটি চুরির ঘটনায় সিসিটিভি ক্যামেরায় মনোজের মুখ ধরা পড়েছিল। তার পর থেকেই পুলিশ তাঁকে খুঁজছিল। এর পর গত মাসের ১০ তারিখে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।