(বাঁ দিকে) আপ সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল (ডান দিকে)। ছবি পিটিআই।
দিল্লি পুলিশ এবং ফরেন্সিক দল পৌঁছল মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের বাসভবনে। সূত্রের খবর, কেজরীওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব বৈভব কুমারের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিলেন আম আদমি পার্টির (আপ) রাজ্যসভার সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল। তাঁর দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতেই তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ। সেই তদন্তের স্বার্থেই কেজরীওয়ালের বাসভবনে অভিযান চালাল দিল্লি পুলিশ।
স্বাতীর দাবি, সোমবার কেজরীওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাসভবনে গিয়েছিলেন তিনি। একটি ট্যাক্সি করে কেজরীওয়ালের বাসভবনে গিয়েছিলেন। সে সময়ই তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করেন বৈভব, এমনই অভিযোগ আপ সাংসদের। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজধানীতে।
বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেন স্বাতী। রাতেই স্বাতীর মেডিক্যাল পরীক্ষাও করানো হয়েছিল দিল্লির এইমসে। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগপত্রে স্বাতী জানান, কেজরীর ব্যক্তিগত সচিব তাঁকে চড় মেরেছেন। এমনকি, তাঁর পেটে লাথি মারার অভিযোগ তুলেছেন আপ সাংসদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাতীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর বয়ান নথিবদ্ধ করে পুলিশ। শুক্রবার ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারার অধীনে স্বাতী নিজের কথা অভিযোগে তুলে ধরেন।
শুক্রবার দুপুরেই কেজরীওয়ালের বাসভবনে হাজির হয় দিল্লি পুলিশের একটি দল। সূত্রের খবর, বসার ঘরে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে তারা। সেই ঘরেই তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ এবং মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন স্বাতী। পাশাপাশি, কেজরীওয়ালের বাসভবনের কর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গেও কথা বলবে পুলিশ। তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হবে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।
স্বাতীর অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরেই অস্বস্তিতে পড়েছে আপ। তাঁর অভিযোগকে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেই স্বাতীকে নিগ্রহের ঘটনার পর দু’দিন কেটে যাওয়া সত্ত্বেও, কেজরীওয়াল কেন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। ঘটনার দিন আপ নেতৃত্ব মুখে কুলুপ দিলেও, ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরে, ওই নিগ্রহের কথা স্বীকার করে বিবৃতি দেন দলের নেতা সঞ্জয় সিংহ। মঙ্গলবার স্বাতীর বাড়িতে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন দিল্লি মহিলা কমিশনের সদস্য বন্দনা সিংহ। সাংবাদিক বৈঠক করে সঞ্জয় জানান, এই ঘটনায় পুরো দল স্বাতীর পাশে আছে। সেই বার্তা দিতেই স্বাতীর বাসভবনে গিয়েছিলেন সঞ্জয়। পাশাপাশি তিনি জানান, বৈভব অত্যন্ত ‘দুর্ব্যবহার’ করেছেন স্বাতীর সঙ্গে। কেজরীওয়াল এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ করবেন।