Nikki Yadav Murder Case

প্রেমিকের বিয়ে! শুনেই গোয়া সফর বাতিল করেন নিক্কি, ভোররাতে তাঁকে খুন করে বিয়ে করতে যান সাহিল

গত ৯ এবং ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যবর্তী রাতে খুন করা হয় নিক্কিকে। মঙ্গলবার তাঁর দেহ দিল্লির নজফগড়ের একটি ধাবার ফ্রিজের ভিতর খুঁজে পায় পুলিশ। গ্রেফতার করে একত্রবাসের সঙ্গী সাহিলকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:৩০
Share:
Nikki Yadav and Sahil Gehlot

মঙ্গলবার নিক্কির দেহ দিল্লির নজফগড়ের একটি ধাবার ফ্রিজের ভিতর খুঁজে পায় পুলিশ। ওই ধাবাটি সাহিলের। ফাইল চিত্র।

পাঁচ বছরের প্রেম। তার পর একত্রবাস। ২২ বছরের নিক্কি যাদব ভাবতে পারেননি এর পরও তাঁর প্রেমিক একটি বিয়ে করতে পারেন তাঁকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে। খবরটা পেয়ে তাই চমকে গিয়েছিলেন। ১০ ফেব্রুয়ারি তাঁর গোয়া যাওয়ার কথা ছিল। ওই দিনই নাকি প্রেমিকের বিয়ে। শুনে গোয়া যাওয়ার পরিকল্পনাই বাতিল করে দিয়েছিলেন ২২ বছরের তরুণী। ১০ তারিখের সেই বিয়ে অবশ্য বাতিল হয়নি। নিক্কির প্রেমিক সাহিল গেহলত আগের দিন রাতে তাঁর একত্রবাসের সঙ্গীকে খুন করে চলে যান বিয়ে করতে। বুধবার এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই জানিয়েছেন নিক্কির বাবা।

Advertisement

মঙ্গলবার নিক্কির দেহ দিল্লির নজফগড়ের একটি ধাবার ফ্রিজের ভিতর খুঁজে পায় পুলিশ। তার পরেই তাঁর বাবাকে ডেকে পাঠানো হয় দেহ সনাক্তকরণের জন্য। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিক্কির বাবা বলেছেন, মেয়ে যে কারও সঙ্গে একত্রবাসের সম্পর্কে রয়েছেন, তা জানতেনই না তিনি। তাঁর কাছে সাহিলের ফোন নম্বর ছিল। নিক্কির বন্ধু হিসাবেই সাহিলকে চিনতেন তিনি।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি সাহিলকে ফোন করেন নিক্কির বাবা। মেয়েকে ফোনে না পেয়েই ওই ফোন করেছিলেন। কিন্তু সাহিল তাঁকে সব জেনেশুনে ভুল পথে চালিত করে বলে দাবি করেছেন নিক্কির বাবা। ওই সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘সাহিল আমাকে বলে, নিক্কি বন্ধুদের সঙ্গে দেহরাদূন-মুসৌরিতে ঘুরতে চলে গিয়েছে। তবে ফোন ফেলে গিয়েছে সাহিলের কাছে। এমনকি, সাহিল এ কথাও বলেছিল যে, ‘আমারও যাওয়ার ইচ্ছে ছিল ওদের সঙ্গে। কিন্তু আমার বিয়ে, তাই যেতে পারিনি’।’’ সাহিলের কথায় তখন বিশ্বাসই করেছিলেন নিক্কির বাবা। এখন সব ঘটনা জেনে সাহিলের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন নিক্কির বাবা। বলেছেন, ‘‘আমি চাই ওকে ফাঁসিতে ঝোলানো হোক।’’

Advertisement

গত ৯ এবং ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যবর্তী রাতে খুন করা হয় নিক্কিকে। তাঁর বাবা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন পনেরো আগেই মেয়ে এসেছিল হরিয়ানায়, নিজের বাড়িতে। নয়ডার গালগোটিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্মানিক ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন নিক্কি। থাকছিলেনও সেখানেই। তাঁর বাবা জানিয়েছেন, শেষ বার মেয়েকে বাড়িতে দেখে তাঁর এক বারও মনে হয়নি সে দুশ্চিন্তার মধ্যে আছে। তবে তিনি এ-ও জানতেন না যে, নিক্কি তাঁর বন্ধু সাহিলের সঙ্গে একত্রে থাকে।

পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে, ২৪ বছরের সাহিলের সঙ্গে নিকির আলাপ ২০১৮ সালে। উত্তম নগরের একটি কোচিং সেন্টারে। পরে তারা সম্পর্কে জড়ায় এবং একসঙ্গে থাকতে শুরু করে। সাহিল পুলিশকে জানিয়েছে, পরিবারের চাপেই বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিল সে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পরিবারের পছন্দ করা পাত্রীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে ঠিক হয়। তবে নিক্কিকে এ ব্যাপারে কিছু জানাতে চাননি তিনি।

সম্প্রতিই সাহিলের বন্ধু মারফত নিক্কি বিয়ের কথা জানতে পারেন। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তিও হয়। পুলিশকে সাহিল জানিয়েছে নিক্কিকে তাঁর গাড়ির ভিতরে মোবাইলের ডেটা কেবলের তার জড়িয়ে খুন করেন তিনি। তার পর তাঁর ধাবার ফ্রিজারের মধ্যে নিক্কির দেহ রেখে বিয়ে করতে চলে যান সাহিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement