—ফাইল চিত্র।
ধোঁয়াশায় ঢাকা দিল্লিকে নিয়ে বহুদিন ধরেই মাথাব্যথা পরিবেশবিদদের। সেই উদ্বেগই আরও বাড়ল পরিবেশ সংক্রান্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গ্রিনপিস ও বিশ্বজুড়ে দূষণ পরিমাপের কাজে জড়িত একটি সফটওয়্যার কোম্পানির যৌথ রিপোর্টে। সেখানে দেখা যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত রাজধানী দিল্লি। মঙ্গলবার জাকার্তায় প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য। ভারতের চিন্তা আরও বাড়িয়েছে গুরুগ্রাম। সারা বিশ্বের বায়ুসূচকের নিরিখে ২০১৮ সালে সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে গুরুগ্রাম। এমনকি পাকিস্তানের ফয়সলাবাদ ছাড়া প্রথম ছয়ে থাকা পাঁতটি শহরই ভারতের (গুরুগ্রাম, গাজ়িয়াবাদ, ফরিদাবাদ, নয়ডা ও ভিওয়ান্ডি)।
ওই রিপোর্ট বলছে, আগামী এক বছরের মধ্যে বায়ুদূষণের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ৭০ লক্ষ মানুষ। সবচেয়ে উদ্বেগজনক দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি। ২০১৮ সালে প্রথম ২০টি দূষিত শহরের মধ্যে ১৮টিই ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের। তালিকায় একাদশ স্থানে রয়েছে দিল্লি। সেখানে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা (পিএম২.৫) প্রতি ঘনমিটারে ১১৩.৫ মাইক্রোগ্রাম। গুরুগ্রামে এই ধূলিকণার পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে ১৩৫.৮। তবে বেজিং এক সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম স্থানে থাকলেও বর্তমান ক্রমানুসারে ১২২তম স্থানে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ভারতেরও উচিত চিনা মডেল অনুসরণ করা।
সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ভারতের বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ‘ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম’ শুরু করা হয়েছে। যা দূষণ কমাতে অনেকটাই সাহায্য করবে। প্রতিটা শহরে দূষণের নির্দিষ্ট পরিমাণ বেঁধে দেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি। লক্ষ্যমাত্রা পেরোলে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন ওই আধিকারিক। তবে এই রিপোর্টের মূল উদ্দেশ্য গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে জনমানসে সচেতনতা বাড়ানো। এর মাধ্যমেই বদলাতে পারে পরিস্থিতি। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বিশ্বের তিন হাজার শহরের মধ্যে হু-এর বেঁধে দেওয়া দূষণের মাপকাঠি পেরিয়েছে ৬৪ শতাংশ শহরই।
রাজধানীর নিরিখে দূষণের তালিকায় দিল্লির পরেই দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং কাবুল।