আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিবেশীর দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
প্রতিবেশী মহিলার ৫ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের দায়ে নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছিলেন দিল্লির এক বাসিন্দা। ওই রায়ের বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। তবে তাঁর আবেদন খারিজ করে সাজা বহাল রাখল হাই কোর্ট। রায়দানের সময় উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘‘সুযোগের সদ্ব্যবহার করে এক ৫ বছরের নিষ্পাপ শিশুর বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন তার পড়শি! শিশুটি তাঁকে ‘ভাইয়া’ (ভাই) বলে ডাকত।’’
রবিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ২০১৬ সালের অগস্টে দিল্লির শাহবাদ ডেয়ারি থানা এলাকার এক মহিলার অভিযোগ ছিল, তাঁর ৫ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করেছেন এক প্রতিবেশী। এফআইআরে তিনি জানিয়েছিলেন, ঘটনার দিন ছোটমেয়েকে স্কুল থেকে এনে বাড়ির দরজার সামনে নামিয়ে দেন। শিশুটির হাতে চাবির গোছা দিয়ে এক প্রতিবেশীর সাহায্যে বাড়ির দরজা খুলে ভিতরে ঢোকার কথা বলেছিলেন তিনি। এর পর বড় মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে বাইরে বেরিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে এসে ছোটমেয়েকে কাঁদতে দেখেন তিনি। মহিলার অভিযোগ, চাবি ঘুরিয়ে বাড়ির দরজা খোলায় শিশুকন্যাকে সাহায্য করার পর সেখানে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেছেন প্রতিবেশী। শিশুটি কাঁদতে শুরু করলে সেখান থেকে পালিয়ে যান তিনি।
এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ওই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত। তবে দিল্লি হাই কোর্টের কাছে অপরাধের কথা অস্বীকার করে ওই ব্যক্তির আবেদন, শিশুটির মায়ের সঙ্গে ঝামেলা হওয়ায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। যদিও দিল্লি হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি মুক্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি পুনম এ বাম্বার পর্যবেক্ষণ, ‘‘আবেদনকারীকে বিশ্বাস করে বাড়ির দরজা খোলার জন্য তাঁর হাতে চাবি দিয়েছিল শিশুটি। তবে এ ক্ষেত্রে ওই সুযোগের ফায়দা তুলে শিশুটির বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন প্রতিবেশী ব্যক্তি। শুধু তা-ই নয়, একটি ৫ বছরের শিশুর উপর জোর খাটিয়ে যৌন অত্যাচার চালিয়েছেন। তার জেরে দু’দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল শিশুটি। গোটা ঘটনার তথ্য খতিয়ে দেখে এতে হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই বলে মনে করে আদালত।’’