National News

আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় আগাম জামিনের আর্জি খারিজ, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ চিদম্বরম

শুনানিতে সিবিআই এবং ইডির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, নানা অজুহাতে বার বার জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে গিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তাই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৯ ১৬:০৭
Share:

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। —ফাইল চিত্র

আইএনএক্স মিডিয়ায় বিদেশি বিনিয়োগে অসঙ্গতি মামলায় আরও বিপাকে পালানিয়াপ্পন চিদম্বরম। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। দীর্ঘদিন ধরেই সিবিআই এবং ইডি কোর্টে সওয়াল করে আসছিল, চিদম্বরমকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। আদালত চিদম্বরমের আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দেওয়ায় তাঁর গ্রেফতারিতে আপাতত আর বাধা রইল না সিবিআই বা ইডির সামনে। তবে এই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন চিদম্বরম।

Advertisement

গত ২৫ জুলাই চিদম্বরমের গ্রেফতারিতে অন্তর্বর্তিকালীন রক্ষাকবচ দিয়েছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুনীল গৌর। ওই দিনই রায়ের দিন ঘোষণা করেন মঙ্গলবার। আজ চিদম্বরমের আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন তিনি। চূড়ান্ত রায়ে সেই রক্ষাকবচ রাখা বা আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন সুনীল গৌর।

এই সময়ের মধ্যে চিদম্বরমের আর্জির শুনানিতে সিবিআই এবং ইডির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, নানা অজুহাতে বার বার জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে গিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তাই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। আইনজীবী মহলের ব্যাখ্যা, এই যুক্তিতেই চিদম্বরমের জামিনের আর্জি খারিজ করেছেন বিচারপতি।

Advertisement

২০০৭ সালে ইউপিএ জমানায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকার সময় আইএনএক্স মিডিয়ায় ৩০৫ কোটির বিদেশি অনুদানের অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেই সময় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রকের অধীন ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন বোর্ডের (এফআইপিবি) অনুমোদন নিতে হত। অভিযোগ, এই সেই সময় আইএনএক্স মিডিয়ায় ৩০৫ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগে বেআইনি ভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ৩৫০ কোটির দুর্নীতি! গ্রেফতার রাতুল পুরী, ভাইপোর ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্ক নেই, বললেন কমল নাথ

অভিযোগ ওঠার পরই তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় আর্থিক দুর্নীতির তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। প্রাথমিক তদন্তের পর ইডি দাবি করে, ওই ৩০৫ কোটি টাকা যে সংস্থায় ট্রান্সফার হয়েছিল, সেটি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন চিদম্বরমের ছেলে কার্তি চিদম্বরম। ইডির আরও দাবি, কার্তির হস্তক্ষেপেই এফআইপিবি এই বিদেশি বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছিল।

আইএনএক্স মিডিয়ায় বিদেশি বিনিয়োগে এফআইপিবি-র অনুমোদনে অসঙ্গতির অভিযোগ তুলে ২০১৭ সালের ১৫ মে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। অন্য দিকে ২০১৮ সালে অর্থ তছরুপের অভিযোগ দায়ের করে ইডি-ও। তার পর থেকেই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা। বেশ কয়েক বার বাবা ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন দুই সংস্থার তদন্তকারী অফিসাররা।

আরও পড়ুন: ডেবিট কার্ড তুলে দিচ্ছে এসবিআই! চেয়ারম্যানের ঘোষণায় তোলপাড়, নগদ মিলবে কোথায়? দুশ্চিন্তায় গ্রাহক

আইএনএক্স মিডিয়া ছাড়াও এয়ারসেল-ম্যাক্সিস চুক্তিতেও অসঙ্গতির অভিযোগ রয়েছে চিদম্বরম এবং তাঁর ছেলে কার্তির বিরুদ্ধে। এই সংস্থাতেও ৩৫০০ কোটির বিনিয়োগে এফআইপিবির অনুমোদনে অসঙ্গতির অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত চলছে সেই অভিযোগেরও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement