ফাইল চিত্র।
দিল্লি হাইকোর্টের কোপে পড়লেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বোর্ডে নরেন্দ্র মোদী সরকারের মনোনীত নতুন সদস্য স্বামীনাথন গুরুমূর্তি। দিল্লি হাইকোর্টের এক বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে টুইটারে প্রশ্ন তুলেছিলেন আরএসএস-ঘনিষ্ঠ এই চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। আজ দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে বিচার বিভাগকে কলঙ্কিত করা চলবে না।’’
আইএনএক্স মিডিয়া ঘুষ কাণ্ডে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধর কার্তি চিদম্বরমকে জামিন দেওয়ার পর গুরুমূর্তি টুইটে করে প্রশ্ন তোলেন, ‘কার্তির বাবা কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী পি চিদম্বরমের অধীনে কি বিচারপতি মুরলীধর কাজ করেছিলেন?’
এর পরে বিচারপতিরা গুরুমূর্তির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন। এর পরে পুণেয় সমাজকর্মী গৌতম নওলখাকে গ্রেফতারি থেকে রেহাই দেওয়া নিয়েও বিচারপতি মুরলীধরের দিকে আঙুল তোলেন গুরুমূর্তি। বিচারপতি মৃদুল বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় সাফাই দেওয়া আমাদের কাজ নয়। বিচারপতিদের অভিসন্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলে মন্তব্য করাটা কি ঠিক? আমরা আতঙ্কিত।’’