দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।
দিল্লি হাই কোর্টে স্বস্তি পেলেন না আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। আবগারি মামলায় সিবিআইয়ের গ্রেফতারি কোনও ভাবেই বেআইনি নয়, জানাল আদালত। সিবিআইয়ের গ্রেফতারি এবং তাঁকে হেফাজতে নেওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে কেজরীওয়ালের করা মামলা খারিজ করল দিল্লি হাই কোর্ট।
সোমবারের শুনানিতে বিচারপতি নীনা বনসল কৃষ্ণের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, সিবিআইয়ের গ্রেফতারির নেপথ্যে ‘ন্যায্য’ কারণ ছিল। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পদক্ষেপকে কখনওই বেআইনি বলা যাবে না। একই সঙ্গে কেজরীওয়ালের জামিনের আবেদন মামলার নিষ্পত্তিও করেছে দিল্লি হাই কোর্ট। নিম্ন আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিচারপতি নীনা বনসলের বেঞ্চ।
গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরীকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। লোকসভা ভোটের সময়ে তাঁকে কিছু দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার মেয়াদ শেষ হলে ২ জুন আবার তিহাড় জেলে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন কেজরী। গত ২০ জুন দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত কেজরীর স্থায়ী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল। ইডির তরফে বৃহস্পতিবার কেজরীর জামিন ৪৮ ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হলেও বিচারক ন্যায় বিন্দু এক লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন দিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন করেছিল ওই মামলার তদন্তকারী সংস্থা ইডি।
গত ২৫ জুন ইডির আবেদন মেনে বিচারপতি সুধীরকুমার জৈন এবং বিচারপতি রবীন্দ্র দুদেজার অবকাশকালীন বেঞ্চ কেজরীর জামিন খারিজ করে দেয়। এর পরে সে দিনই তিহাড়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পরে জেলবন্দি কেজরীকে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের অনুমোদনে হেফাজতে নেয় আবগারি মামলার আর এক তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। সিবিআই হেফাজতকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কেজরী রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আবেদন জানালেও তা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তার পর দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সোমবার তা-ও খারিজ হয়ে যায়।
অন্য দিকে, আবগারি মামলায় ধৃত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে কেজরীওয়ালের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ১২ জুলাই বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ দিয়েছিল। ইডির মামলায় জামিন পেলেও সিবিআইয়ের মামলাতে কেজরীওয়লাকে তিহাড় জেলেই থাকতে হবে।