কী ভাবে এত জনের মৃত্যু? খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল্লি হাই কোর্টের। — প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দিল্লিতে মানসিক ভারসাম্যহীনদের এক আশ্রয়কেন্দ্রে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় এ বার রিপোর্ট তলব করল দিল্লি হাই কোর্ট। শুধু জুলাই মাসেই ১৪ জন আবাসিকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। সোমবার ওই মামলার শুনানি ছিল হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মনমোহন ও বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার বেঞ্চে। এত স্বল্প সময়ের মধ্যে এত জনের মৃত্যু কাকতালীয় পারে না বলে মন্তব্য করেছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। আদালতের মন্তব্য, “খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে এত জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৪ জন মারা গিয়েছেন। এটি কাকতালীয় হতে পারে না।”
আদালতের নির্দেশ, দিল্লি সরকারের সমাজ কল্যাণ দফতরের সচিবকে মঙ্গলবারই ওই আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে হবে। সেই পরিদর্শনের ভিত্তিতে হাই কোর্টে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। আদালত জানিয়েছে, যদি ওই ভবনে আবাসিকদের সংখ্যা অত্যাধিক হয়, তবে সেখানে ভিড় কমাতে কিছু সংখ্যক আবাসিককে অন্য কোনও জায়গায় স্থানান্তর করতে হবে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-তে প্রকাশ, গত ফেব্রুয়ারি থেকে মানসিক ভারসাম্যহীনদের জন্য ওই আশ্রয়কেন্দ্রে ২৫ জন আবাসিকের মৃত্যু হয়েছে। একাধিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, শুধু জুলাই মাসেই তাঁদের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই নিয়ে দিল্লি হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল।
মৃতদের মধ্যে প্রায় সকলেই যক্ষ্মায় ভুগছিলেন। সেই বিষয়টি তুলে ধরেই আদালত দিল্লি জল পর্ষদকে ওই আশ্রয়কেন্দ্রের জলের গুণগত মান পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে জলের পাইপ ও নিকাশির পাইপ কী অবস্থায় রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।