—প্রতীকী চিত্র।
পুত্র এবং পুত্রবধূর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বৃদ্ধা। তাঁর পক্ষেই রায় দিল আদালত। মাকে হেনস্থার অভিযোগে পুত্র এবং পুত্রবধূকে মায়ের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল।
বাড়িতে অশান্তি, অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে হাই কোর্টে পুত্র এবং পুত্রবধূর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন ৮০ বছরের বৃদ্ধা। মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁর মক্কেল ওই সম্পত্তির একক মালিক। তাঁর পুত্র কিংবা পুত্রবধূ তাঁকে যত্ন করেন না। বৃদ্ধার স্বামী বেঁচে থাকতে তাঁকেও কোনও রকম যত্ন করা হয়নি। বাড়িতে নিত্য অশান্তি বৃদ্ধা সহ্য করতে পারছেন না। এই অশান্তি ধীরে ধীরে তাঁর মৃত্যুকেই ত্বরান্বিত করছে বলে দাবি আইনজীবীর।
দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব নারুলার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, বয়স্ক নাগরিকেরা জীবনের একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং দুর্বল পর্যায়ের মধ্যে থাকেন। পারিবারিক অশান্তির কারণে তাঁদের মনে বাড়তি চাপ পড়ে। প্রত্যেক বয়স্ক নাগরিকের নিরাপদ, নির্ঝঞ্ঝাট জীবন প্রয়োজন। সেই কারণেই মামলাকারী বৃদ্ধার পুত্র-পুত্রবধূকে বাড়ি খালি করতে বলেছে আদালত। সন্তানদের নিয়েই চলে যেতে বলা হয়েছে তাঁদের। সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এই মামলার মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি।
আদালত জানিয়েছে, বয়স্ক নাগরিক আইনে ষাটোর্ধ্বদের জন্য যে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে, তার ভিত্তিতেই নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। ওই আইনে বলা আছে, বয়স্ক নাগরিকদের যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ালে পরিবারের সদস্যের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হতে পারে। ছেলের সংসারে বাবা-মায়ের অবহেলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে উচ্চ আদালত। মামলাকারীর পুত্রকে আগামী দু’মাসের মধ্যে সপরিবার বাড়ি খালি করে দিতে বলা হয়েছে।