—ফাইল চিত্র।
রঘুরাম রাজন জানিয়েছিলেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর থাকাকালীন তিনি বড় মাপের ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলার তালিকা প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও)-কে দিয়েছিলেন। তথ্যের অধিকার আইনে সেই তালিকা চাওয়া হলেও পিএমও সেই তথ্য দিতে অস্বীকার করে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর এ ক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আইন ও তথ্যের অধিকার আইনে তথ্য গোপন রাখার ক্ষমতাকে ঢাল করেছিল। আজ দিল্লি হাই কোর্ট এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কাছে ব্যাখ্যা দিয়ে হলফনামা চাইল।
দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি রেখা পিল্লাই আজ মন্তব্য করেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যখন প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে এই তথ্য দিয়েছে, তখন আর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আইন খাটে না। প্রধানমন্ত্রীর দফতর কী ভাবে তথ্য অধিকার আইনকে ঢাল করছে, মুখ্য তথ্য আধিকারিকের কাছে তারও ব্যাখ্যা চেয়েছে হাই কোর্ট। অর্থনীতিবিদ প্রসেনজিৎ বসু প্রধানমন্ত্রীর দফতরে তথ্যের অধিকার আইনে ব্যাঙ্ক প্রতারণার তালিকা চেয়েছিলেন। তথ্য না-মেলায় মুখ্য তথ্য কমিশনারের কাছে আবেদন করেন তিনি। মুখ্য তথ্য কমিশনারের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বক্তব্যেই সিলমোহর দিয়েছিল। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই প্রসেনজিৎ হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন। ২০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।