—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
চিনা মাঞ্জার সুতো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দিল দিল্লি সরকার। উৎসবের মরসুমের আগে যে কোনও রকমের ধারালো সুতোর বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই সংশ্লিষ্ট সব বিভাগে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন।
দিল্লি সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, চিনা মাঞ্জা বা যে কোনও ধরনের কাচ লাগানো সুতোর উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিক্রি এবং ব্যবহার রাজধানীতে নিষিদ্ধ। পরিবেশমন্ত্রী দিল্লিবাসীর কাছে এই ধরনের সুতো ব্যবহার না করার অনুরোধও করেছেন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞার পরেও চিনা মাঞ্জা কেউ বিক্রি করলে, বা কাউকে ওই সুতো ব্যবহার করতে দেখলে শাস্তি হিসাবে পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল এবং এক লক্ষ টাকার জরিমানা হতে পারে।
সামনেই উৎসবের মরসুম। স্বাধীনতা দিবস এবং রাখী পূর্ণিমা আসতে আর বেশি দেরি নেই। এই দিনগুলিতে উৎসবের উদ্যাপনের জন্য অনেকেই ঘুড়ি ওড়ান। ঘুড়ির লড়াইয়ে মেতে উঠতে মুখিয়ে আছেন অনেকেই। কিন্তু ঘুড়ি ওড়ানোয় সাধারণ সুতো ব্যবহারের পরামর্শই দিচ্ছে দিল্লি সরকার। চিনা মাঞ্জা ব্যবহার করে ঘুড়ি ওড়ালে পদে পদে বিপদের সম্ভাবনা থেকে যায়। ঝুঁকি এড়াতে তাই আগেভাগেই এই বিপজ্জনক সুতো নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, “১৫ অগস্টের আগে পরে দিল্লিতে ঘুড়ি ওড়ানোর হিড়িক শুরু হয়। কিন্তু উৎসবের মেজাজে প্রতি বছরই দুর্ঘটনার সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে। ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে দিল্লিতে চিনা মাঞ্জার ব্যবহার এবং বিক্রি নিষিদ্ধ। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেউ কেউ ঘুড়ি ওড়ানোর সময় এগুলি ব্যবহার করেন। পশুপাখিরাও এই সুতোতে আটকে যায়।’’
চিনা মাঞ্জায় এক দিকে যেমন দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে, অন্য দিকে তেমন এই মাঞ্জা পরিবেশের পক্ষেও অত্যন্ত ক্ষতিকর। এগুলির ব্যবহার বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের তরফে প্রচার চালানো হচ্ছে।