জামিন পেলেন ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ। ছবি: পিটিআই
শর্তাধীন জামিন পেলেন ভীম আর্মি প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ। বিনা অনুমতিতে জামা মসজিদে নয়া নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভ সংগঠিত করেছিলেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল দিল্লি পুলিশ। প্রতিবাদ করা নাগরিক অধিকার, এই যুক্তিতেই তিস হাজারি আদালত জামিন দিল তাঁকে।
তিস হাজারি আদালতের বিচারক কামিনী লাউয়ের নির্দেশ অনুসারে, আগামী চার সপ্তাহ কোনও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা চলবে না। বিধানসভা ভোটেপর্বে দিল্লিতে থাকতে পারবেন না ভীম আর্মি প্রধান। যাওয়া চলবে না শাহিনবাগ চত্বরে। তবে উত্তরপ্রদেশে রওনা হওয়ার আগে তিনি জামা মসজিদ চত্বরে যেতে পারবেন।
মঙ্গলবারই তাঁর জামিনের শুনানি শুরু হলে দিল্লি পুলিশকে ভর্ৎসনা করেন তিস হাজারি আদালতের বিচারক। আদালত জানিয়ে দেয়, বিক্ষোভ প্রদর্শন নাগরিক অধিকার। সেই অধিকার কেড়ে নিতে পারে না দিল্লি পুলিশ। কাজ হয়নি তাঁর বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ এনেও। বিচারক কামিনী লাউ সরকারি আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করে বলেন, ‘‘কোথায় হিংসা, চন্দ্রশেখরের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে কোথায় ভুল? কেন প্রতিবাদ করা যাবে না? সংবিধানটা আদৌ পড়ে দেখেছেন?’’
গত ২১ ডিসেম্বর চন্দ্রশেখরকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। জামা মসজিদ চত্বর থেকে আটক করা হয় হয় তাকে। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ লুকোচুরি খেলার পরে ধরা দিতে বাধ্য হন চন্দ্রশেখর। তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। মিশন চন্দ্রশেখর সফল না হলেও তাঁর গ্রেফতারির বিরোধিতায় উত্তাল হয়েছিল দেশের ছাত্র যুব সমাজ।