নিকিতা জেকব।
টুলকিট মামলায় অভিযুক্ত নিকিতা জেকব এবং শান্তনু মুলুককে আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না। মঙ্গলবার এমন নির্দেশই দিয়েছে দিল্লির এক আদালত।
মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী নিকিতা ও পেশায় ইঞ্জিনিয়ার শান্তনুর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ ছিল। কৃষক আন্দোলনের তথ্য সমৃদ্ধ ‘টুলকিট’ নেট মাধ্যমে প্রচার করে তাঁরা দেশের নামে অপপ্রচার করেছে বলে অভিযোগ করেছিল দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল। এমনকি সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলের আগের দিন জুম মিটিংয়ে এই দু’জন এবং পরিবেশ আন্দোলনকর্মী দিশা রবি কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিশেষ প্রচারে নামার ‘ষড়যন্ত্র’ করেন বলেও অভিযোগ করে দিল্লি পুলিশ। দিশাকে এই মামলায় আগেই জামিন দিয়েছিল আদালত। মঙ্গলবার দিল্লি আদালত নিকিতা আর শান্তনুর গ্রেফতারি ঠেকাতে ৬ দিনের সময় দিল।
নিকিতা ও শান্তনুর মামলায় রায় মঙ্গলবার দেন দিল্লি আদালতের অতরিক্ত দায়রা বিচারক ধর্মেন্দ্র রানা। তিনি বলেন, ‘‘দিল্লি পুলিশ যে অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে এনেছে, তার পাল্টা যুক্তি পেশের জন্য দু’জনেরই সময় দরকার। এ জন্যই ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময় দেওয়া হল তাঁদের।’’ দিল্লি পুলিশকে এ ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে রানা বলেন, ‘‘আগামী ১৫ মার্চ ফের মামলাটির শুনানি হবে। তার আগে পর্যন্ত যেন নিকিতা এবং শান্তনুকে গ্রেফতার না করে দিল্লি পুলিশ।’’
কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিশদ তথ্য সমৃদ্ধ টুলকিট নিয়েই সমস্যার শুরু। ওই টুলকিট নেটমাধ্যমে শেয়ার করেছিলেন সুইডেনের পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ভারতের কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে গ্রেটা ওই টুলকিট শেয়ার করেন। তার পর ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরব হন রিহানা, মিয়া খলিফা-সহ আন্তর্জাতিক স্তরের বেশ কিছু তারকাও। দিল্লি পুলিশের অভিযাগ ছিল ওই টুলকিট নিয়েই। ওই টুলকিটে কৃষক আন্দোলন নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে বলেও দাবি করে তারা। এতে দেশের মর্যাদাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনে নিকিতা, দিশা, শান্তনুর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা দায়ের করে। মঙ্গলবার ওই মামলাতেই এই রায় দেয় আদালত।
দিল্লি পুলিশ বলেছিল, গ্রেটাকে ওই টুলকিট পাঠিয়েছিলেন দিশা। এমনকি ওই টুলকিট দিশা তৈরি করেছেন বলেও অভিযোগ করে তারা। প্রমাণস্বরূপ দিশা ও গ্রেটার হোয়াটসঅ্যাপ বার্তালাপ তাঁদের হাতে এসেছে বলে দাবি করে দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল।