Swati Maliwal Assault Case

সাংসদ স্বাতীকে নিগ্রহের অভিযোগে ধৃত বৈভবের জামিনের আবেদন খারিজ, আপাতত জেল হেফাজতেই

গত ১৩ মে আপের রাজ্যসভা সাংসদ স্বাতী কেজরীওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাসভবনে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁকে কেজরীর ব্যক্তিগত সচিব শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৪ ১৮:৪৮
Share:

(বাঁ দিকে ) বৈভব কুমার এবং আপ সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

আপ সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল ‘নিগ্রহকাণ্ডে’ ধৃত বৈভব কুমারের জামিনের আর্জি খারিজ হল। সোমবার দিল্লির ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব বৈভবের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। দিল্লি পুলিশ গত ১৮ মে এই মামলায় বৈভবকে গ্রেফতার করেছিল। ২৪ মে তাঁকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়।

Advertisement

স্বাতীর দাবি, গত ১৩ মে কেজরীওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাসভবনে গিয়েছিলেন তিনি। সে সময়ই তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করেন কেজরীর ব্যক্তিগত সচিব বৈভব কুমার। আপ সাংসদের দাবি, বৈভব তাঁকে ৭-৮টি চড় এবং পেটে লাথি মারেন। একটি টেবিলেও তাঁর মাথা ঠুকে দেন! ১৬ মে দিল্লি পুলিশের কাছে বৈভবের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন স্বাতী। সে রাতেই স্বাতীর মেডিক্যাল পরীক্ষাও করানো হয়েছিল দিল্লির এমসে। ১৭ মে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারার অধীনে স্বাতী নিজের বয়ান নথিভুক্ত করেছিলেন।

স্বাতীর অভিযোগ এবং এমসের মেডিক্যাল রিপোর্টের ভিত্তিতে ১৮ মে পুলিশ বৈভবকে গ্রেফতার করে। মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্টে স্বাতীর ডান গাল এবং বাঁ পায়ে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে বলে দিল্লি পুলিশের দাবি। জখম রয়েছে চোখের তলাতেও। যা থেকে তাঁর তোলা শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ ‘প্রমাণিত’ বলেই তদন্তকারীরা প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন। দিল্লি পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, স্বাতী-বর্ণিত নিগ্রহকাণ্ডের সময় কেজরীর বাসভবনে তাঁর বাবা-মা উপস্থিত ছিলেন। তাই তদন্তের স্বার্থেই তাঁদের বয়ান নথিভুক্ত করা প্রয়োজন।

Advertisement

স্বাতী পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরেই গোটা ঘটনা নিয়ে ‘রাজনৈতিক টানাপড়েন’ শুরু হয়। স্বাতী ‘নিগ্রহকাণ্ড’ কার্যত নতুন মোড় নেয়। ঘটনায় দলের পুরনো অবস্থান থেকে সরে গিয়ে ১৭ মে বিকেলে দিল্লির আপ মন্ত্রী অতিশী দাবি করেন, স্বাতী বিজেপির এজেন্ট হয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়ালকে ফাঁসাতে গিয়েছিলেন। কেজরী সে দিন বাসভবনে না থাকায় তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বৈভবকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করেন অতিশী।

অথচ গত ১৪ মে আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ বিবৃতি দিয়ে বৈভবের হাতে স্বাতীর হেনস্থা হওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে স্বাতীর দাবি, অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর দল প্রথমে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু বৈভব শাসিয়েছেন, যদি তিনি গ্রেফতার হন, তা হলে কেজরী এবং আপের সব গোপন তথ্য ফাঁস করে দেবেন। দিল্লির আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে একের পর এক নেতার গ্রেফতারিতে বেসামাল আপ তাই বৈভবের পাশে দাঁড়িয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement