প্রতীকী ছবি।
১৭ বছরের ভাইঝিকে খুন করার জন্য দিল্লির এক ব্যক্তি ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার ঘটনার কথা জানিয়েছে পুলিশ। ওই ব্যক্তি মাস খানেক আগে কিশোরীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
খুনের দায়ে অভিযুক্ত ভাকিল পোদার (৫১) এবং তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে পড়াশোনার জন্য থাকত ওই কিশোরী। উত্তর-পূর্ব দিল্লির তাহিরপুর এলাকার লেপ্রোসি কলোনিতে থাকত তারা। সেখান থেকেই ২৫ অক্টোবর ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই কিশোরী ভাকিলের শ্যালকের মেয়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, ২৩ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ ছিল ওই কিশোরী। পুলিশকে ওই মহিলা জানিয়েছিল, সকাল সাড়ে ৫টায় ভিক্ষা করতে গিয়েছিল সে। বিকালে ফিরে এসে দেখে, তার ভাইঝি ঘরে নেই। ঘটনা স্বামীকে জানানোয় স্বামী তাকে বলে, ভাইঝিকে সে গাজিয়াবাদের অনাথ আশ্রমে দিয়ে এসেছে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ভাকিলও ২৩ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ। ২৩ অক্টোবর গাজিয়াবাদের অনাথ আশ্রমে কাউকে নিয়ে আসা হয়নি বলেও তদন্তে উঠে আসে। তার পর প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে মাসখানেক আগের ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ।
এর পর ভাকিলের খোঁজ শুরু হয়। মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে তাকে বিহার থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে পুলিশ। পুলিশি জেরায় সে খুন করার কথা স্বীকার করেছে। জানিয়েছে, ভাইঝির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চেয়েছিল সে। কিন্তু তাতে আপত্তি ছিল ওই কিশোরীর। গোটা ঘটনার কথা জানত ভাকিলের স্ত্রী। এর পরই কিশোরীকে গ্রামে ফেরত পাঠানোর জন্য তাদের মধ্যে ঝগড়াও হত। কিন্তু পড়াশোনা শেষ করার জন্য দিল্লিতে থাকতে চাইত ওই কিশোরী। ভাকিলও কিশোরীকে সেখানে রাখতেই আগ্রহী ছিল।
এই সব বিষয় নিয়ে ২৩ অক্টোবর ঝগড়া হয় দম্পতির। তখনই কিশোরীকে খুন করার জন্য ভাকিলকে বলে তার স্ত্রী। তার পরই লোহার রড দিয়ে কিশোরীর মাথায় মেরে তাকে খুন করে ভাকিল। সে সময় তার স্ত্রী বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করছিল। তার পর কিশোরীর দেহ বিছানার মধ্যে ভরে রাখে তারা। ঘরের মেঝে, লোহার রডও পরিষ্কার করে ২ জন মিলে। কিন্তু চেষ্টা করেও কিশোরীর দেহ বাইরে ফেলে আসতে পারেনি তারা। তখনই ভাকিলকে চলে যেতে বলে তাঁর স্ত্রী। এবং পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে মিথ্যা গল্প ফাঁদে।