ঠান্ডার জন্য আবার প্রস্তুতি শুরু দিল্লিতে। ফাইল চিত্র।
হাড় কাঁপানো ঠান্ডা সবে একদফা ঝোড়ো ‘ইনিংস’ খেলে গিয়েছে রাজধানীতে। রবিবার জানা গেল, শীতের দাপুটে ‘ব্যাটিং’ এখনও দেখা বাকি রয়ে গিয়েছে দিল্লির। সোমবার থেকেই পুরনো ‘ফর্মে’ ফিরছে দিল্লির ঠান্ডা। যার জেরে দিল্লিবাসীকে শীতের পোশাক নিয়ে আগে ভাগে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিল মৌসম ভবন।
দিল্লির আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সোমবার থেকেই রাজধানী দিল্লি-সহ উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্য ভারতে কমতে শুরু করবে তাপমাত্রা। দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায় বইতে পারে শৈত্যপ্রবাহও। যার জেরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে আসতে পারে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের তাই আগামী কয়েকদিন নির্দিষ্ট কয়েকটি সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেছে মৌসম ভবন।
রবিবারই এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। তাতে বলা হয়েছে, ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অন্তত দু’-তিন ডিগ্রি কমতে পারে। এই ক’দিন রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং দিল্লিতে ‘প্রবল শৈত্যপ্রবাহ’ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এমনকি, আগামী ৫ দিন এই চার রাজ্যে রাতে এবং সকালে ঘন কুয়াশার কারণে কমতে পারে দৃশ্যমানতা। দিল্লিবাসীকে সতর্ক থাকতে তাই খুব প্রয়োজন না পড়লে বাড়ির ভিতরেই থাকার পরামর্শ দিয়েছে মৌসম ভবন। আর এই সময়ে কী ধরনের গরম পোশাক পরতে হবে, তাও স্পষ্ট করে জানিয়ে জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা।
আবহবিদরা জানাচ্ছেন, একটি গরম জামা না পরে, একাধিক গরম পোশাক পড়া উচিত। গায়ে চেপে থাকবে এমন গরম জামার বদলে অনেকগুলি আলগা পোশাক একটির উপর আরেকটি পরে নিলে শীতকে ঠেকানো যাবে। আবহবিদদের মতে, যদি শৈত্যপ্রবাহ বা প্রবল শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়, তবে দিল্লিবাসীর এ ভাবেই অনেকগুলির গরম উলের পোশাকের স্তর তৈরি করে শীত প্রতিরোধ করতে পারেন। এ ছাড়া দিল্লিবাসীকে মাথা, গলা, হাত এবং পায়ের পাতা ঢেকে রাখার পরামর্শও দিয়েছেন।
ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই বৈদ্যুতিক হিটার ব্যবহার করেন। আবহাওয়া দফতরের তরফে তা নিয়েও সাবধান করা হয়েছে দিল্লিবাসীকে। বলা হয়েছে, হিটার ব্যবহার করার সময় ঘরে অক্সিজেন চলাচল সঠিক ভাবে হচ্ছে কি না সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তা না হলে বদ্ধ করে দূষিত হতে পারে বাতাস। বাড়তে পারে বিপদ।