বৃহস্পতিবার ধোঁয়াশায় ঢাকা দিল্লির সকাল। ছবি: পিটিআই।
গত কয়েক দিন ধরেই দিল্লির বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) টানা খারাপ পর্যায়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবার গুণগত মান আরও নেমেছে। তার উপর এ দিনই দীপাবলি। কিন্তু সকালেই যে ভাবে ধোঁয়ার পুরু চাদরে ঢেকেছে রাজধানীর আকাশ, তা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দীপাবলির সকালেই যদি এই অবস্থা হয়, তা হলে রাতে পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে পৌঁছবে?
দূষণ ঠেকাতে প্রতি বারই নানা পদক্ষেপ করা হয়, বিশেষ করে দীপাবলির দিন দূষণের মাত্রা যাতে চরম পর্যায়ে না পৌঁছয়, বেশ কয়েক বছর ধরে এই দিনে বিশেষ নজরদারি চালানো হয় রাজধানীতে। শব্দবাজি, আতশবাজি বিক্রি, মজুত এবং বানানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি। ২০২৫-এর ১ জানুয়ারি পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকি অনলাইনেও বাজি বিক্রি করা যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছে তারা। তবে সবুজ বাজির বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, দীপাবলির দিন রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সবুজ বাজি ফাটানোর অনুমতি দেওয়া হবে। কিন্তু তার পরেও কি দূষণ কমানো যাবে? প্রশ্ন ঘুরছে নানা মহলে। দীপাবলির দিন সকালে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান ৩২৮। যা খুব খারাপ পর্যায়ে পড়ে। সিস্টেম অফ এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ (সফর)-এর তথ্য বলছে, বৃহস্পতিবার আনন্দ বিহারে বাতাসের গুণগত মান ভয়ানক পর্যায়ে পৌঁছেছে। সেখানে একিউআই ৪১৯। আনন্দ বিহারের পাশাপাশি, আলিপুর, অশোর বিহার, আয়া নগর, বাওয়ানা, বুরাড়ী, দ্বারকা এবং বিমানবন্দর এলাকায় বাতাসের গুণগত মান খুবই খারাপ।
এ ছাড়াও জাহাঙ্গিরপুরী, মুন্দকা, নারেলা, ওখলা, প্রতাপগঞ্জ, পাঞ্জাবি বাগ, রোহিণী, আর কে পুরম, বিবেক বিহার, ওয়াজ়িরপুরেও বাতাসের গুণগত মান অনেকটাই নেমেছে বলে জানাচ্ছে সফর-এর তথ্য।