—ফাইল চিত্র।
ডোকলাম নিয়ে টানাপড়েন আপাতত কিছুটা কমেছে। কিন্তু জলপথে, বিশেষত বঙ্গোপসাগরে চিনের সক্রিয়তা নিয়ে কেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরেই সরব। তাই তট-সুরক্ষার বিষয়টিকে মাথায় রেখে এ বার উপকূলরক্ষী বাহিনীর বিমান বহরকে ঢেলে সাজছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। উন্নত করা হচ্ছে বিমান ঘাঁটিগুলিকেও। শুক্রবারেই ভুবনেশ্বরে উপকূলরক্ষী বাহিনীর উন্নত বিমান ঘাঁটির উদ্বোধন করেছেন বাহিনীর ডিজি রাজেন্দ্র সিংহ। তাতে হাজির ছিলেন বাহিনীর এ়ডিজি (পূর্ব) কে সি পাণ্ডে এবং আইজি (উত্তর-পূর্ব) কুলদীপ সিংহ শেওরান।
বাহিনী সূত্রে বলা হয়েছে, পূর্ব উপকূলের ক্ষেত্রে ভুবনেশ্বর গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপত্তার পাশাপাশি বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রেও এই ঘাঁটিকে ব্যবহার করা যাবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে, উপকূলরক্ষী বাহিনীর পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৩২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তার অনেকটাই বিমান বহরের পিছনে খরচ করা হতে পারে।
উপকূলরক্ষী বাহিনীর আঞ্চলিক মুখপাত্র অভিনন্দন মিত্র জানান, ২০২২ সালের মধ্যে তাঁদের বাহিনীর ভাঁড়ারে চলে আসছে ১১০টি বিমান। ১৬টি ধ্রুব-মার্ক থ্রি হেলিকপ্টারও আসবে। ১৪টি ‘ইসি৭২৫’ বিমান কেনার বরাত দেওয়ার প্রক্রিয়াও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
উপকূলরক্ষী বাহিনী সূত্রের খবর, বর্তমানে ভুবনেশ্বরের বিমান ঘাঁটিতে দু’টি ডর্নিয়ের বিমান রয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরের ঘাঁটিতে আছে তিনটি ডর্নিয়ের। নতুন ধ্রুব হেলিকপ্টারের কয়েকটি ভুবনেশ্বরের নতুন ঘাঁটিতে মোতায়েন করা হবে। পরবর্তী ধাপে কলকাতার ঘাঁটিতেও নতুন বিমান ও কপ্টার আসতে পারে।
উপকূলরক্ষী বাহিনীর কর্তারা জানাচ্ছেন, চিন সাগরের লাগোয়া বঙ্গোপসাগরের প্রায় দেড় লক্ষ বর্গকিলোমিটারের এই এলাকা নিরাপত্তার দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। বিমান বহর বাড়লে এই এলাকার উপরে নজরদারি আরও জোরালো হবে। বিদেশি শক্তিকে প্রতিরোধ করার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় বা বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় সামলানোর দায়দায়িত্বও আছে। বিমান বহর সমৃদ্ধ হলে দুর্যোগে তড়িঘড়ি উদ্ধারকাজেও নেমে পড়া যাবে। ওড়িশার রায়লগড়া জেলায় সাম্প্রতিক বন্যায় উপকূলরক্ষী বাহিনীর ভুবনেশ্বর ঘাঁটি থেকেই উদ্ধারকাজ চালানো হয়েছিল।