Pahalgam Terror Attack

দেশবাসীকে কথা দিচ্ছি, শীঘ্রই জোরালো ও স্পষ্ট জবাব পাবে অপরাধীরা! পহেলগাঁও-কাণ্ডে হুঙ্কার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথের

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ওই বৈঠকের পরেই কড়া বিবৃতি দিলেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৪০
Share:
পহেলগাঁও হত্যালীলা নিয়ে কড়া বার্তা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের।

পহেলগাঁও হত্যালীলা নিয়ে কড়া বার্তা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের। —ফাইল চিত্র।

পহেলগাঁওয়ের হত্যালীলার পর কোন পথে এগোবে দেশের তিন বাহিনী? তা নিয়ে বুধবার দুপুরে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান ছাড়াও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধানও। সূত্রের খবর, প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা ওই বৈঠকে সর্বোচ্চ সামরিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি জঙ্গিনিধন অভিযানকে আরও জোরদার করার জন্যও বলা হয়েছে। ওই বৈঠকের পরে রাজনাথ এক বিবৃতিতে জানান, শুধু হত্যাকারীদেরই নয়, পিছন থেকে যারা ষড়যন্ত্র করেছে, তাদেরও জবাব দেওয়া হবে।

Advertisement

জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে মঙ্গলবার জঙ্গিদের হত্যালীলায় অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন বাদে বাকিরা পর্যটক। ওই হামলাকে কাপুরুষোচিত বলে ব্যাখ্যা করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ। বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আমি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই যে সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করবে। আমরা শুধুমাত্র এই হামলার অপরাধীদেরই নয়, পর্দার আড়ালে থেকে যারা ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করব। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা শীঘ্রই এর জোরালো এবং স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া দেখতে পাবে।”

মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। হামলার দায়স্বীকার করেছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-ই-ত্যায়বার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। টিআরএফের উত্থান ২০১৯ সালে, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ হওয়ার পর। টিআরএফের জন্ম হয়েছিল কাশ্মীরি জঙ্গি শেখ সাজ্জাদ গুলের হাতে। সে সময় জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’-র সদ্য অবলুপ্তি হয়েছে। ঠিক সেই রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝেই লশকরের ‘ছায়া সংগঠন’ হিসাবে উঠে আসে টিআরএফ।

Advertisement

পহেলগাঁওয়ের ঘটনার থেকে ইতিমধ্যে নিজেদের দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেছে পাকিস্তান। সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, “পহেলগাঁও হামলায় আমাদের কোনও হাত নেই।” এ দিকে মঙ্গলবার ওই ঘটনার কথা জানতে পেরেই সৌদি আরবের সফর কাঁটছাঁট করে বুধবার সকালে দেশে ফিরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে ইতিমধ্যে একটি বৈঠক করেছেন তিনি। সন্ধ্যায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কমিটির আরও একটি বৈঠকের কথা রয়েছে। ওই বৈঠকেও ডোভাল থাকতে পারেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement