মাঝপথে অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামিয়ে দেওয়া হল রোগীর মৃতদেহ। এমনই অভিযোগ উঠল করিমগঞ্জে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক দিন ধরে দুরারোগ্য রোগে ভুগছিলেন শহরের হাসপাতাল রোডের জিতেন্দ্র দাস। ৬ সেপ্টেম্বর তাঁকে করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসরা জন্য তাঁকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তাঁর পরিজনরা জানান, গত রাতে ৮টা নাগাদ জরুরি পরিষেবার ১০২ অ্যাম্বুল্যান্সে ওই রোগীকে নিয়ে শিলচরের দিকেও রওনা হন তাঁরা। বেহাল রাস্তায় মাঝপথে রোগীর অবস্থা খারাপ হলে অ্যাম্বুল্যান্সের চালক গাড়িটি শ্রীগৌরী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা জিতেন্দ্রবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিযোগ, মৃতদেহ ফেলেই করিমগঞ্জ শহরে ফিরে যায় অ্যাম্বুল্যান্সটি। জিতেন্দ্রবাবুর ছেলে জয়ন্ত দাসের অভিযোগ, রাত তখন সাড়ে ১০টা। প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। তাঁর সঙ্গে দুই বোন ছাড়া কেউ ছিলেন না। তাঁরা চালককে বারবার অনুরোধ জানালেও লাভ হয়নি। চালক জানিয়ে দেন, অ্যাম্বুল্যান্সে মৃতদেহ নিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। জয়ন্তবাবুর অভিযোগ, ওই সময় মৃতদেহ বহনের জন্য কোনও গাড়ি তাঁরা পাননি। রাত প্রায় ১২টা নাগাদ একটি ছোট গাড়িতে করে জিতেন্দ্রবাবুর মৃতদেহ নিয়ে তাঁরা করিমগঞ্জে ফিরে আসেন।