হাসপাতালে চিকিত্সা চলছে অসুস্থদের। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
বিষমদ কাণ্ডে উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে মৃত বেড়ে দাঁড়াল ৯৭। গত কালই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানায়, বিষমদের উৎস উত্তরাখণ্ড। উত্তরপ্রদেশ নয়। ঘটনার দায় আজ সমাজবাদী পার্টির উপরেই চাপিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আজ বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাও।
আজ আদিত্যনাথ বলেছেন, ‘‘অতীতেও দেখা গিয়েছে, আজ়মগড়, কানপুর, হরদোই ইত্যাদি জায়গায় বিষমদ কাণ্ডের পিছনে সমাজবাদী পার্টির (এসপি) নেতাদের হাত রয়েছে। এ বারেও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।’’
এসপি নেতা অখিলেশ যাদবের অবশ্য পাল্টা জবাব, ‘‘বিরোধীরা সরকারকে এই ধরনের বেআইনি ব্যবসা নিয়ে আগেও সচেতন করেছে। কিন্তু সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি। কারণ, তাদের কোনও কোনও নেতা এর সঙ্গে জড়িত।’’ মুখ খুলেছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাও। তিনি বলেন, ‘‘এই ঘটনায় স্তম্ভিত। দুই রাজ্যে বেআইনি মদের ব্যবসা যে ভাবে ফুলেফেঁপে উঠেছে, তা অভাবনীয়।’’
মৃতদের পরিবারের অভিযোগ, উত্তরাখণ্ড সরকারের উপরে দোষ চাপিয়ে পিঠ বাঁচাতে চাইছে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ-প্রশাসন। গত কালই, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানায়, মদের উৎস উত্তরাখণ্ডের বালুপুর। সেখান থেকে ৩০টি বিষাক্ত মদের পাউচ এনে শাহরানপুরে বিক্রি করেছিলেন পিন্টু নামে এক ব্যক্তি। তিনি ও তাঁর পরিবারের পাঁচ জনও ওই বিষমদের বলি হয়েছেন। তবে পিন্টুর ভাই জিতেন্দ্র জানিয়েছেন, মদ উত্তরাখণ্ড থেকে কেনা হয়নি। পিন্টু কখনও বালুপুরে যাননি। মদ কেনা হয়েছে উত্তরপ্রদেশ থেকেই। জিতেন্দ্রের অভিযোগ, পিন্টু যে বেআইনি মদ সরবরাহ করতেন, তা জানত পুলিশও। আর তার জন্য পিন্টুর থেকে নিয়মিত টাকা নিত পুলিশ।
আজ মৃতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা ও সরকারি চাকরির দাবিতে পথ অবরোধ করেন শাহরানপুরের স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।