প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
চিতায় শোয়ানোর পর মুখাগ্নির পর্ব চলছিল। কিন্তু তার আগেই আচমকা উঠে বসলেন ‘মৃত’ মহিলা। ওড়িশার এই কাণ্ডে হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতি দেখে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে পালালেন শ্মশানবন্ধুরা। তবে তাঁদের মধ্যেই কয়েক জন উপলব্ধি করেন, মহিলা সত্যিই বেঁচে রয়েছেন। ভুল ভাঙতেই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার নাম বুজ্জি আম্মা। গত ১ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঝলসে গিয়েছিলেন বুজ্জি। তাঁর দেহেক ৫০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে এমকেসিজি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে অন্যত্র নিয়ে যেতে পারেনি বুজ্জির পরিবার। অগত্যা তাঁকে বাড়িতেই নিয়ে আসা হয়।
সোমবার বুজ্জির শারীরিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। বুজ্জির স্বামী শিবরাম বলেন, “সোমবার হঠাৎ দেখি আমার স্ত্রী নড়াচড়া করছে না। শ্বাসপ্রশ্বাসও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। চোখ বন্ধ ছিল। ভেবেছিলাম মরে গিয়েছে। লোকজনকে খবর দিয়ে ওর সৎকারের ব্যবস্থা করেছিলাম।” এক গ্রামবাসী কে চিরঞ্জীবী বলেন, “বুজ্জিকে সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে গিয়েছিলাম। চিতাও সাজানো হয়ে গিয়েছিল। সবে মুখাগ্নি করার প্রস্তুতি নেওয়া চলছিল, সেই সময়েই বুজ্জি চোখ খোলেন। আর তাতেই সবাই স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম।”
তাঁর কথায়, “প্রথমে আমরা সবাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কারণ এ রকম ঘটনা আগে কখনও দেখিনি। যখন বুঝতে পারলাম বুজ্জি জীবিত, স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানাই। তার পর আবার তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাই।” ‘মৃত’ অবস্থা থেকে বুজ্জির আচমকা বেঁচে ওঠার ঘটনায় ওড়িশার ব্রহ্মপুরে হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে।