গত বছরের শেষে কানপুরের কাছে রুড়ায় শিয়ালদহ-অজমেঢ় এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পিছনে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ও মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের হাত রয়েছে বলে দাবি করল বিহার পুলিশ। ওই দুর্ঘটনায় ২ জন মারা যান। আহত হন ৪৬ জন।
আজ সন্ধ্যায় বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলার মোতিহারি থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম মোতি পাসোয়ান, উমাশঙ্কর প্রসাদ এবং মুকেশ যাদব। পূর্ব চম্পারণ জেলার এসপি জিতেন্দ্র রানা বলেন, ‘‘জেরায় মোতি স্বীকার করেছে রুড়ায় রেল দুর্ঘটনার পিছনে তার হাত ছিল।’’ পুলিশকর্তা আরও জানান, আইইডি বিস্ফোরণ করে রেল লাইন উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। নভেম্বরে কানপুরের কাছে পুড়খাইয়া স্টেশনে ইনদওর-পটনা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনাতেও এই সন্দেহভাজনদের হাত থাকতে পারে বলে ধারণা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একাংশের।
পুলিশের দাবি, রেল লাইনে হামলার জন্য পাকিস্তানের ‘ডি-কোম্পানি’র মাধ্যমে দুবাইয়ে থাকা আইএসআই এজেন্ট শামসুল হুদার কাছে টাকা পৌঁছয়। পরে শামসুলের কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা পায় নেপালে গা-ঢাকা দিয়ে থাকা আইএসআই এজেন্ট ব্রজকিশোর গিরি। তা শেষে পৌঁছয় মোতির হাতে। পরে ঠিক হয়েছিল, ২ জানুয়ারি নরেন্দ্র মোদীর লখনউয়ের সভার আগের দিন কানপুরের কাছে ট্রেনের লাইন ওড়ানো হবে। কিন্তু রক্ষীরা সেখানে চলে আসায় তা ভেস্তে যায়।
সম্প্রতি নেপাল পুলিশের সাহায্য নিয়ে সে দেশে তিন জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে আইএসআই এজেন্ট ব্রজকিশোর গিরি, শম্ভু ওরফে লড্ডু এবং মুহাজির আনসারি।