নিহত শহিদ প্রেম সাগরের পরিবার। ছবি: সংগৃহীত।
মাথার বদলে মাথা৷ যোগ্য জবাব দেওয়া হোক পাকিস্তানকে। শহিদ জওয়ানদের পরিবারের এমনটাই দাবি৷ সোমবার পাকিস্তানের ‘বর্ডার অ্যাকশন টিম’ (বিএটি)-এর হামলায় শহিদ হন বিএসএফ-এর ২০০ ব্যাটেলিয়নের হেড কনস্টেবল প্রেম সাগর ও সেনা বাহিনীর ২২ শিখ রেজিমেন্টের নায়েব সুবেদার পরমজিৎ সিংহ।
এই ঘটনার পর শোকে ভেঙে পড়েছেন শহিদদের পরিবারের সদস্যেরা। পাক বাহিনীর এই বর্বরতার বদলে ৫০ জন পাকিস্তানি সেনার মাথা কেটে আনার দাবি জানিয়েছেন প্রেম সাগরের মেয়ে সরোজ। তিনি বলেন, ‘‘মাথার বদলে মাথা। আমার বাবার বলিদানের বদলে ৫০ জন পাক সেনার মাথা চাই।’’
সোমবার, কাশ্মীরের কৃষ্ণা ঘাঁটিতে দুই ভারতীয় জওয়ানের মাথা কেটে নিয়ে যায় পাকিস্তানের ‘বর্ডার অ্যাকশন টিম’ (বিএটি)। তাঁদের মধ্যে এক জন শহিদ প্রেমসাগর। ৫০ বছরের প্রেম সাগর উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলার তাকেনপুরের বাসিন্দা। বাবার মৃত্যুর খবর এখনও তাঁকে জানায়নি প্রশাসন। সংবাদ মাধ্যমের কাছে এমনই অভিযোগ জানিয়েছেন প্রেম সাগরের কন্যা।
আরও পড়ুন: ছিন্নভিন্ন দুই জওয়ানের দেহ, পাক হানার কড়া জবাব প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
২০১৩ সালে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ল্যান্স নায়েক হেমরাজের মাথা কেটে নিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান বর্ডার টিম। তাঁর মা-ও গতকালকের পাক সেনার লজ্জাজনক আচরণে ক্রোধে ফুঁসছেন। তিনি দাবি করেছেন, ভারত এ বার গা ঝাড়া দিয়ে উঠে এ ধরনের হামলার পাল্টা উপযুক্ত জবাব দিক। তাঁর কথায়, ‘‘ওরা আমার ছেলের মুণ্ডচ্ছেদ করেছিল। এখন তো প্রতি দিনই এমন নানা ঘটনা ঘটতে দেখছি। সরকার কথা দিয়েছিল, ওরা আমাদের এক জনের মাথা কাটলে ওদের ১০টা মাথা কেটে আনবে, যদিও আজ পর্যন্ত কিছুই হল না।’’
সেনা বাহিনীর ২২ শিখ রেজিমেন্টের নায়েব সুবেদার পরমজিৎ সিংহ এবং বিএসএফ-এর ২০০ ব্যাটেলিয়নের হেড কনস্টেবল প্রেম সাগর। (বাঁ দিক থেকে)। ছবি: সংগৃহীত।
গতকাল নিহত ২২ শিখ রেজিমেন্টের নায়েব সুবেদার পরমজিৎ সিংহেরও অঙ্গহানি করেছে পাক বাহিনী। পঞ্জাবের তরণ তারণে তাঁর বাড়িতে শোকের ছায়া। পরমজিতের মেয়ে সিমরনদীপ বলেন, ‘‘বাবা দেশের জন্য শহিদ হল। গর্বিত আমি।’’