পঞ্চায়েতের ভোটে মা জিতেছেন বলে প্রতিশোধ নিতে মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল বিরোধী পক্ষের কয়েক জনের বিরুদ্ধে। বার বার বলা সত্ত্বেও পুলিশ অভিযোগ না নেওয়ায় অপমানে আত্মঘাতী হন ওই কিশোরী। গত বুধবার উত্তরপ্রদেশের মীর্জাপুরের ঘটনা।
পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী হয়েছিলেন কিশোরীর মা। ভোটে জিতেওছিলেন। কিন্তু সেটা মেনে নিতে পারেননি তাঁর বিরোধী পক্ষ। হারের বদলা নিতে ওই মহিলার মেয়েকে শিকার বানায় তারা। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মেয়েটি বাড়িতে একা যখন ঘুমোচ্ছিলেন সেই সময় দুই ব্যক্তি তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। একটি মাঠে ধর্ষণের পর সেখানেই তাঁকে ফেলে রেখে পালায় অভিযুক্তরা। এই ঘটনার পর বাড়িতে ফিরে মেয়েটি তাঁর মাকে সমস্ত কথা জানান। বৃস্পতিবার পরিবারের লোকেদের নিয়ে থানায় হাজির হন ওই মহিলা প্রার্থী। অভিযোগ, সব শুনেও কোনও লিখিত অভিযোগ নেয়নি পুলিশ। শুধু মৌখিক আশ্বাস দিয়েই তাঁদের বাড়িতে ফেরত পাঠায়। নিজের উপর অত্যাচারের অপমান সহ্য করতে না পেরে শুক্রবারই আত্মহত্যা করেন ওই কিশোরী।
এই ঘটনার পরই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে গোটা গ্রাম। অভিযোগ না নেওয়া এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করার জন্য পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় পাপ্পু বহেলিয়া এবং বিন্দু বহেলিয়া নামে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। তাদের গ্রেফতারও করা হয়।
এ বিষয়ে মীর্জাপুরের পুলিশ সুপার অরবিন্দ সেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে হলে তিনি জানান, অভিযুক্তেরা ওই মহিলারই আত্মীয়। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে সে সম্পর্কে তিনি জানান, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।