— প্রতীকী চিত্র।
সদ্য বেঙ্গালুরুতে শেষ হয়েছে আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধিসভা। গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহে হয়ে যাওয়া ওই বৈঠকের পরেই মন্দির আন্দোলন নিয়ে পথ পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন আরএসএস শীর্ষ নেতৃত্ব। সংগঠনের সহকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবলে জানিয়েছে কাশী-মথুরা মন্দির আন্দোলনে যদি আরএসএস কর্মীরা স্বেচ্ছায় যোগ দিতে চান, তা হলে তাঁরা যোগ দিতে পারেন।
রাম জন্মভূমি আন্দোলনের সাফল্যের পরেই আরএসএসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তাদের লড়াই মূলত ছিল রামমন্দির প্রতিষ্ঠার। ভবিষ্যতে এ ধরনের আন্দোলনে সরাসরি নামতে দেখা যাবে না আরএসএস-কে। মনে করা হয়েছিল, ‘কাশী-মথুরা বাকি হ্যায়’ স্লোগানের দিকে আর হয়তো ঝুঁকবে না সঙ্ঘ। সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতও জ্ঞানবাপী বিতর্কের পরে বিভিন্ন মসজিদে শিবলিঙ্গ খুঁজতে যাওয়ার প্রয়োজন কী, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। অযথা এ নিয়ে বিতর্ক বাড়ানোর সমালোচনা করেছিলেন তিনি। কিন্তু আজ কন্নড় ভাষায় প্রকাশিত ‘বিক্রম’ নামে আরএসএসের একটি মুখপত্রে হোসবলে জানিয়েছেন, ‘‘১৯৮৪ সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও সাধুসন্তেরা তিনটি মন্দির পুনরুদ্ধারে সরব হয়েছিলেন (রাম জন্মভূমি, কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির ও মথুরার কৃষ্ণ জন্মভূমি)। এখন যদি স্বয়ংসেবকদের একটি অংশ ফের মন্দির আন্দোলনে নামেন, সে ক্ষেত্রে আমরা তাঁদের আটকাব না।’’ রাজনীতিকদের মতে, ২০২৭-এ উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনকে মাথায় রেখে নতুন করে মন্দির আন্দোলনকে সামনে আনতে চায় আরএসএস। গত কয়েক বছরে সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা বলা মধ্যপন্থার ইঙ্গিত থেকে সরে আসছে তারা। নিজস্ব সংবাদদাতা