IIT Bombay

দলিত বলে কথাবার্তা বন্ধ, দর্শনকে একঘরে করেন সহপাঠীরা, দাবি মৃত আইআইটি ছাত্রের পরিবারের

বম্বে আইআইটিতে সহপাঠীদের মানসিক নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন দর্শন সোলাঙ্কি। দাবি করলেন মৃত ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:১০
Share:

দর্শন সোলাঙ্কির প্রতি তাঁর ক্যাম্পাসের বন্ধুদের আচরণ রাতারাতি বদলে গিয়েছিল বলে দাবি মৃত ছাত্রের পরিবারের সদস্যদের। ছবি: সংগৃহীত।

দলিত সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ার কারণেই বম্বে আইআইটিতে সহপাঠীদের দ্বারা মানসিক নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন দর্শন সোলাঙ্কি। ক্যাম্পাসে তাঁর সঙ্গে কথাবার্তাও বন্ধ করে দিয়েছিলেন সহপাঠীরা। এমনকি, তফসিলি শংসাপত্র থাকায় আইআইটির মতো প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার খরচ দিতে হত না বলে দর্শনকে হিংসাও করতেন তাঁরা। সংবাদমাধ্যমের কাছে এমনই দাবি করলেন মৃত ছাত্রের পরিবারের সদস্যেরা। যদিও ক্যাম্পাসে বৈষম্যের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আইআইটি কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

রবিবার বম্বে আইআইটির আটতলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে দর্শন আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত নেমেছে পুলিশ।

সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’-র কাছে দর্শনের পরিবারের দাবি, ক্যাম্পাসে বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন দর্শন। মাস তিনেক আগে আইআইটিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। দর্শনের বোন জাহ্নবী সোলাঙ্কি বলেন, ‘‘গত মাসে বাড়ি এসেছিল দর্শন। সে সময় আমাদের বলেছিল, তফসিলি জাতিভুক্ত জানার পর থেকেই তার প্রতি ক্যাম্পাসের বন্ধুদের আচরণ রাতারাতি বদলে গিয়েছিল। তার সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দিয়েছিল সহপাঠীরা।’’ দর্শনের মা তরলিকাবেনের দাবি, ‘‘আমার ছেলের উপর মানসিক নিপীড়ন চলত। খুব মনঃকষ্টে ছিল ও। সেই জন্যই এমনটা (ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়েছে) করেছে।’’

Advertisement

বিপুল অর্থ ব্যয় না করেই দর্শন যে আইআইটিতে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছেন, তা নিয়েও তাঁকে সহপাঠীদের কটূক্তি শুনতে হয়েছে বলে তাঁর কাকিমা দিব্যাবেনের দাবি। তিনি বলেন, ‘‘দর্শন বলেছিল, ‘বন্ধুরা বলত, আমরা টাকাপয়সা খরচ করে এখানে পড়ছি, সেখানে তুমি কেন ফ্রি-তে পড়াশোনার সুযোগ পাবে? অনেকেই আমাকে হিংসা করত।’ তখন থেকে সহপাঠীদের সঙ্গে কথাবার্তা বন্ধ করেছিল দর্শন।’’

দর্শনের মৃত্যু নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁর বাবা রমেশভাই সোলাঙ্কি। তিনি বলেন, ‘‘মৃত্যুর দু’ঘণ্টা আগে ফোনে আমার সঙ্গে কথা বলেছিল ছেলে। সে সময় স্বাভাবিক ভাবে কথা বলছিল ও। আমার দাদার মেয়ের জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানিয়েছিল। ওর অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর কথায় ও বলেছিল, খুব বেশি খরচাপাতি করছে না। ফলে টাকাপয়সা প্রয়োজন নেই।’’

দর্শনের বাবা ও তাঁর পরিবারের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বম্বে আইআইটি কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার একটি বিবৃতি জারি করে তাঁরা জানিয়েছেন, ‘‘প্রথম বর্ষের বি টেক ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে নানা প্রতিবেদনে যে সমস্ত দাবি করা হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে বৈষম্যের কারণে মৃত্যু হয়েছে। বম্বে আইআইটির তরফে এই দাবি অস্বীকার করা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement