নৃত্যশিল্পী সুধা চন্দ্রন (বাঁ দিকে), প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। ফাইল ছবি।
প্রতিবার বিমানে যাত্রা করার আগে তাঁর কৃত্রিম পা খুলে পরীক্ষা করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তিনি বার বার আপত্তি করলেও তা মানা হয় না। অথচ এটার খুব প্রয়োজন আছে কি? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এমনই অভিযোগ করলেন নৃত্যশিল্পী তথা অভিনেতা সুধা চন্দ্রন। ভিডিয়ো বার্তায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর আর্জি, প্রবীন নাগরিকদের যেমন আলাদা কার্ড দেওয়া হয়। কৃত্রিম অঙ্গ ব্যবহারকারীদের জন্য তেমনই কার্ডের ব্যবস্থা করা হোক।
দুর্ঘটনায় পা হারিয়েছেন। কিন্তু তাঁকে দমিয়ে রাখা যায়নি। কৃত্রিম পা লাগিয়ে মঞ্চে আগুন জ্বেলেছেন বছরের পর বছর। গোটা বিশ্বে নাম উজ্জ্বল করেছেন ভারতের। তিনি সুধা চন্দ্রন। এ হেন সুধাই এ বার গুরুতর বিষয় উত্থাপন করলেন। জানালেন, তিনি যখনই বিমানবন্দরে যান, তাঁকে কৃত্রিম পা খুলে পরীক্ষা করাতে হয়। বার বার আপত্তি জানিয়েও লাভ হয় না। বিমানবন্দরে ইটিডি বা ‘এক্সপ্লোসিভ ট্রেস ডিটেক্টর’ (বিস্ফোরক খোঁজার যন্ত্র) ব্যবহার করে তাঁর কৃত্রিম পা পরীক্ষার বিকল্প ব্যবস্থা থাকলেও তা তাঁর ক্ষেত্রে কোনওদিন ব্যবহার করা হয় না। উল্টে প্রতিবারই তাঁকে কৃত্রিম পা খুলে পরীক্ষা করাতে হয়। যা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ এবং ঝুঁকির কাজ।
প্রধানমন্ত্রীকে জানানো আর্জিতে ৫৬ বছরের ভারতনাট্যম শিল্পী জানিয়েছেন বিমানবন্দরে যে সমস্যার মুখে পড়েন তার কথা। একই সঙ্গে সুধার পরামর্শ, প্রবীন নাগরিকদের জন্য যেমন বিশেষ পরিচয়বহনকারী কার্ডের ব্যবস্থা রয়েছে, তেমনই কৃত্রিম অঙ্গ ব্যবহারকারীদের জন্যও পৃথক কার্ডের ব্যবস্থা করা হোক। যাতে বিমানবন্দরে তাঁকে যে রকম অবস্থার মুখে পড়তে হয়, তার অবসান ঘটে।
নেটমাধ্যমে সুধার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। অভিনেতার পাশে দাঁড়াচ্ছেন সহকর্মী থেকে শুরু করে নানা পেশার বহু মানুষ। সুধার আর্জিতে সাড়া দিয়ে কৃত্রিম অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ কার্ডের ব্যবস্থা হবে কি? সেটাই এখন প্রশ্ন।