মরা গরু সরাতে অস্বীকার, গুজরাতে ধর্মঘট দলিতদের

হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আগেই। সেই মতো এ বার গুজরাতের বহু জায়গায় মৃত পশু সরাতে অস্বীকার করে ধর্মঘটে নামলেন দলিতরা। তাঁদের দাবি, সরকারি নিরাপত্তা এবং পরিচয়পত্র না পেলে আর এ কাজ করবেন না তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৩:৩৪
Share:

হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আগেই। সেই মতো এ বার গুজরাতের বহু জায়গায় মৃত পশু সরাতে অস্বীকার করে ধর্মঘটে নামলেন দলিতরা। তাঁদের দাবি, সরকারি নিরাপত্তা এবং পরিচয়পত্র না পেলে আর এ কাজ করবেন না তাঁরা।

Advertisement

চলতি মাসের গোড়ায় গোহত্যার অভিযোগে উনায় হেনস্থার শিকার হন চার দলিত যুবক। সেই থেকে ঝামেলার সূত্রপাত। এর প্রতিবাদে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সাত দলিত। জায়গায় জায়গায় শুরু হয় বিক্ষোভ। রাস্তাঘাটে নোংরা পরিষ্কার করা বা মরা জন্তুর দেহ ভাগাড়ে ফেলে দিয়ে আসার কাজ বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দেন দলিতরা। সুরেন্দ্রনগরের জেলাশাসক উদিত অগ্রবাল জানিয়েছেন, ধর্মঘট চলায় বাধ্য হয়ে পুরসভার কর্মীদের দিয়ে মরা জন্তু সরানোর কাজ চলছে। যাঁরা এই কাজে যুক্ত তাঁরা পরিচয়পত্র চাইছেন। বিষয়টি শীঘ্রই সরকারকে জানানোর আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।

গুজরাতের একাধিক দলিত সংগঠন এই ধর্মঘটে যোগ দিয়েছে। এই রকমই একটি সংগঠনের সদস্য নাতু পার্মার জানিয়েছেন, সুরেন্দ্রনগর জুড়ে প্রায় ১৪-১৫টি গোয়াল বা খামারবাড়িতে প্রতিদিন শ’দুয়েক গবাদি পশু মারা যায়। তার মধ্যে অধিকাংশই গরু। এই সব মৃত জন্তুর দেহ ভাগাড়ে ফেলতে গিয়ে প্রতিদিন হেনস্থার শিকার হতে হয় দলিতদের।

Advertisement

উনার ঘটনার পর তা সামনে এসেছে মাত্র। সরকার এর বিহিত করুক। পার্মারের কথায়, ‘‘আমাদের প্রধান দাবি এই কাজের সঙ্গে যুক্তদের সরকারি পরিচয়পত্র দেওয়া হোক। পরিচয় পত্র থাকলে বোঝা সম্ভব কে গোহত্যাকারী কে নয়।’’

নির্দিষ্ট আশ্বাস না পেলে ধর্মঘট জারি রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছে দলিত সংগঠনগুলি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement