মৃত্যু দগ্ধ কিশোরীর, অধরা দুষ্কৃতী 

জানা গিয়েছে, কিশোরীর গায়ে আগুন লাগার পরে ওই যুবককেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

দিল্লি শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:২০
Share:

প্রতীকী ছবি

দু’দিন আগে আগরায় ভরদুপুরে ১৫ বছরের এক দলিত কিশোরীর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর। এ দিন আগরায় লালাউ গ্রামে নিজের বাড়ির ছাদে ওই কিশোরীর এক সম্পর্কিত দাদার দেহ মিলেছে। অনুমান বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, কিশোরীর গায়ে আগুন লাগার পরে ওই যুবককেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশ।

Advertisement

মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে ওই কিশোরী জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার স্কুল থেকে ফেরার সময়ে মোটরবাইকে চেপে আসা দুই দুষ্কৃতী তার পথ আটকায়। মেয়েটিকে তারা উত্যক্ত করছিল। ধাক্কা মারছিল তার সাইকেলে। এর পর আচমকাই কিশোরীর গায়ে পেট্রল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালায় তারা। মেয়েটির চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেয়েটিকে রাস্তার উপরে ওই ভাবে জ্বলতে দেখে এক বাসচালক এগিয়ে আসেন। বাসের ভিতরে থাকা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে তিনি আগুন নেভান। এর পর স্থানীয় একটি হাসপাতালে মেয়েটিকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তত ক্ষণে তার শরীরের প্রায় ৫৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। অবস্থার আরও অবনতি হলে কিশোরীকে দিল্লির হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোররাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে। মেয়েটির মা আজ জানান, তাঁদের সঙ্গে কারও পারিবারিক শত্রুতা ছিল না। মেয়েকে কেউ বিরক্ত করত বলেও শোনেননি। তা হলে কারা এই ঘটনা ঘটাল? পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা হেলমেট পরে থাকায় তাদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। ধৃত ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল অপরাধীকে খুঁজছে পুলিশ।

ক’দিন আগে আগরাতেই বি-টেকের এক ছাত্রীকে গণর্ধষণের অভিযোগ উঠেছিল। উত্তরপ্রদেশে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনায় যোগী সরকারকে কাঠগড়ায় তুলছে বিরোধী দলগুলি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement