ফাইল ছবি
অসমে বন্যাত্রাণে ১০ লক্ষ টাকার সাহায্য পাঠলেন তিব্বতের ধর্মগুরু দলাই লামা। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মাকে চিঠি পাঠিয়ে লেখেন, ‘বছরের পর বছর অসমবাসীকে বন্যার তাণ্ডব সহ্য করতে হচ্ছে। তা দুর্ভাগ্যজনক।’ কেন্দ্র অসমের বন্যার জন্য কোনও প্যাকেজ ঘোষণা না করায় সরব বিরোধীরা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মনোনয়ন উপলক্ষে দিল্লি যাওয়া হিমন্ত সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘কেন্দ্র থেকে যা সাহায্য পাচ্ছি অনেক। বন্যার জল নামলে ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনার পরে, রাস্তা বা সেতু তৈরি করতে পৃথক প্যাকেজ চাওয়া হয়।’’
জলমগ্ন শিলচর শহরে সেনাবাহিনী ও আসাম রাইফেলসের উদ্ধার অভিযান চলছে। রাজ্যের অন্যত্র বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও জমা জল এখনও রয়েছে শিলচরে। নদীর জল বিপদসীমা ছাড়ানোর খবর পেয়ে শ্রীকোণা ব্যাটেলিয়ন রঙ্গিরখাড়ি এলাকা থেকে ৬৭ জন মহিলা ও ৫৬টি শিশু-সহ ১৪০ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। বেতুকান্দি এলাকায় বাঁধ ভেঙে বরাক নদী শহরে ঢুকে পড়ায় জলস্তর অপরিবর্তিত। বাঁধ না সারালে জলও নামবে না শহর থেকে। ফলে গত রবিবার থেকে শিলচর শহরে জল, বিদ্যুতের হাহাকার। ত্রাণও অপ্রতুল। শহরে বহুতলের বাসিন্দাদেরও খাবারে টান পড়েছে। হেলিকপ্টারে পাঠানো ত্রাণ সকলের চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট নয়। ২৭ জুন জেইই পরীক্ষা রয়েছে। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা, কোথাও বুক জল, কোথাও গলা জল পার করে পরীক্ষাকেন্দ্র শিলচর এনআইটি পর্যন্ত কী ভাবে পৌঁছবেন!