২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের। ফাইল চিত্র
সপ্তাহের প্রথমে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে দেখা গেলেও বুধবার থেকে সংক্রমণের রেখচিত্র আবার ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে। টানা দু’দিন ধরে দেশে দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজারের উপরেই রয়েছে।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ২১,৫৬৬। বুধবার এই সংখ্যা ছিল ২০,৫৫৭। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়ে হল ৪.৮ শতাংশ। বুধবার দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৪.১৩ শতাংশ। যত জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়। রাজ্যভিত্তিক করোনার সার্বিক পরিস্থিতি লক্ষ করলে দেখা যায়, দেশে দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় মহারাষ্ট্রকে ছাপিয়ে শীর্ষে কেরল। গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২,৬৬৭। এর পরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (২,৪৫৫), মহারাষ্ট্র (২,৩২৫) ও তামিলনাড়ু (২,১১৬)। লক্ষদ্বীপে আপাতত কোভিডে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলেই ১৭ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া মহারাষ্ট্রে সাত জন, পশ্চিমবঙ্গে ছয় জন, উত্তরাখন্ড, অসম, বিহার, রাজস্থানে দু’জন এবং সিকিম, মিজোরাম, হিমাচল প্রদেশ, গোয়া, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীরে এক জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর মিলেছে। বুধবার কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ৪০। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৮৭০। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপ থেকে ১৮,২৯৪ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এখনও পর্যন্ত দেশ জুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ৩১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৩৪ জন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৫ শতাংশ।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৮,৮৫৯। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৬,৫৯৪। তার আগের দু’দিন ছিল ৮,৫৮২ এবং ৮,০৮৪। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ৮,৮২২ এবং ১২,২১৩। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৮,৮৫৯, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)