সোহরাবুদ্দিন শেখ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ফের বিপাকে গুজরাত পুলিশের প্রাক্তন অফিসার ডিজি বানজারা। ওই মামলার সাক্ষী আজম খান দাবি করেছে, রাজ্যের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হারীন পান্ড্যকে খুন করতে সোহরাবুদ্দিনকে নিয়োগ করেছিলেন বানজারাই। আজমের দাবি, এ কথা সে সোহরাবুদ্দিনের কাছেই শুনেছিল।
২০০৩ সালে আমদাবাদে খুন হন হারীন পান্ড্য। ২০০৫ সালের নভেম্বরে গুজরাত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় দাগি অপরাধী সোহরাবুদ্দিন শেখ ও তার স্ত্রী কৌসর বি। ভুয়ো সংঘর্ষে তাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই ভুয়ো সংঘর্ষের মামলায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ও বানজারা-সহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই। তার মধ্যে অমিত শাহ, বানজারা এবং গুজরাত ও রাজস্থান পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের মুক্তি দিয়েছে দায়রা আদালত।
সম্প্রতি সোহরাবুদ্দিন মামলার শুনানিতে সাক্ষী আজম খান জানায়, ২০০২ সালে সোহরাবুদ্দিন ও তার
স্ত্রী কৌসর বি-এর সঙ্গে তার আলাপ হয়। সোহরাবুদ্দিনই তাকে জানায়, হারীন পান্ড্যকে খুন করতে বানজারা তাকে নিয়োগ করেছিলেন। আজমের কথায়, ‘‘সোহরাবুদ্দিন বলেছিল, তাকে এর জন্য টাকা দিয়েছিলেন বানজারা। সেও কাজ শেষ করে দিয়েছে। আমি বলেছিলাম, ভুল করেছ। পান্ড্য ভাল লোক ছিলেন।’’
আজম আরও জানিয়েছে, তাকে পরে গ্রেফতার করে রাজস্থান পুলিশ। তখন উদয়পুর জেলে তার সঙ্গে সোহরাবুদ্দিনের সহযোগী তুলসীরাম প্রজাপতির দেখা হয়। আজমের দাবি, ‘‘প্রজাপতিই আমাকে বলে যে, গুজরাত পুলিশ সোহরাবুদ্দিন আর কৌসরকে খুন করেছে।’’