— প্রতীকী চিত্র।
আন্দামান সাগরে ফের দানা বাঁধতে চলেছে একটি নিম্নচাপ। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই সেই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। বুধবার এই পূর্বাভাস সামনে আসার পরেই ফের বঙ্গোপসাগরে নতুন কোনও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে কি না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। সেই আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দিতে পারছেন না আবহবিদদের অনেকেই। তাঁরা বলছেন, অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড় তৈরির অনুকূল পরিস্থিতি থাকে। তবে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলেও তা ওড়িশা-বাংলা উপকূলের দিকে বয়ে আসার আশঙ্কা এখনও দেখা দেয়নি।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, আজ, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। শনিবার সেটি নিম্নচাপের চেহারা নেবে এবং সোমবার নাগাদ সেই নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপ হবে। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে মৌসম ভবন। নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পরে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত পূর্বাভাস জারি করা হতে পারে।
আবহাওয়া সংক্রান্ত বেসরকারি সংস্থার পূর্বাভাস দেখে আবহবিদদের একাংশ মনে করছেন, ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলেও সেটি দক্ষিণ ভারতের উপকূলের দিকেই যেতে পারে। বর্তমানে পূর্ব ভারতে যে ধরনের বায়ুপ্রবাহ আছে তাতে ঘূর্ণিঝড় এ দিকে না-ও আসতে পারে। বস্তুত, উত্তরে বাতাসের দাপটে রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেশ কমেছে। এ দিনও পুরুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ছিল। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৫ ডিগ্রি। দমদমের তাপমাত্রা ছিল ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরবঙ্গে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের তাপমাত্রাও ১৫ ডিগ্রির কাছেপিঠে ঘুরছে। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রার এই ছবি তেমন বদলাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।